হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে মা, তার শিশু ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানায় করা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়।
কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (১৩ জুন) সকাল ১১টার দিকে আসমা খাতুন, তার ছেলে রবিন ও স্থানীয় বিকাশের কর্মী শাকিল খান কাস্টমস মোড়ে মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় পুলিশের এএসআই সৌমেন রায় এসে পিস্তল দিয়ে প্রথমে আসমাকে গুলি করেন। এরপর গুলি করেন শাকিলকে। এটা দেখে শিশু রবিন পালানোর চেষ্টা করলে তাকেও গুলি করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাতেনাতে পিস্তলসহ সৌমেনকে ধরে পুলিশে দেয়।
পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সৌমেনের কথিত স্ত্রী আসমা। আর আসমার প্রথম স্বামীর ছেলে শিশু রবিন।
এর আগে নিহত আসমার মা কুমারখালী উপজেলার নাথুরিয়া গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে মেয়ে ও নাতিকে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
নিহত আসমা এএসআই সৌমেনের বিধিসম্মত বৈবাহিক স্ত্রী কিনা সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার। তিনি বলেন, ‘আসমার পরিবার ও সৌমেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সৌমেন রায় আসমা খাতুনের তৃতীয় স্বামী। আসমার সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিশু রবিন আসমার প্রথম স্বামীর সন্তান।’
কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া ও খুলনা পুলিশের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন ডিউটিতে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তা দাপ্তরিক অনুমোদন ছাড়া সরকারি অস্ত্র নিয়ে খুলনার ফুলতলা উপজেলা থেকে কুষ্টিয়াতে এসে কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে; সেই বিষয়ে কার কতটুকু দায় বা কর্তব্যকাজে অবহেলা ছিল, এর সবকিছু খুটিনাটি বিশ্লেষণসহ তদন্ত করবে এই কমিটি।