২৫০ বছর আগের জংলি গাছে লটকন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লটকন বাগানের অন্যতম একটি জেলার নাম নরসিংদী। এখানে লটকন চাষ করে সাফল্য অর্জন করছেন অনেক চাষি। আর্থিক লাভের কারণে বছর ঘুরতেই বাড়ছে লটকন বাগানের সংখ্যা। নরসিংদীর শিবপুর, বেলাব, মনোহরদী, রায়পুরা ও পলাশ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় সবচেয়ে বেশি লটকনের চাষ হয়ে থাকে।

সম্প্রতি জেলার শিবপুর উপজেলার আচলীতলা, ঘিলাবের, বাটপাড়া, নৌকা ঘাটাসহ বেশকিছু এলাকার লটকন বাগান ঘুরে দেখা যায় গাছে গাছে ঝুলছে অসংখ্য লটকন। এমন মনোরম দৃশ্যে যে কারোর মন কেড়ে নেবে।

শিবপুর উপজেলার জয়নগর এলাকার লটকন বাগান মালিক ভূপেন দেবনাথ বলেন, প্রায় ৩০ বিঘার উপর আমাদের এ লটকন বাগানটি। আমাদের পূর্ব পুরুষরাও এ লটকন চাষ করতেন।

লটকন গাছের নিচে বাগান মালিক ভূপেন দেবনাথ

লটকন গাছের নিচে বাগান মালিক ভূপেন দেবনাথ

আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমাদের এ বাগানটিতে প্রায় ২৫০ বছর আগের তিনটি লটকন গাছ রয়েছে। এবার আশ্চর্য না হয়ে পারলাম না। ঘুরে ঘুরে দেখলাম আর অবাক হয়ে গাছের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এবার লটকন গাছের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগে যুবকটির বয়স জিজ্ঞেস করতেই বললেন আমার বয়স ৪২ বছর। আমার বড় বাবা কালী কুমার দেবনাথের সময়কার এ গাছগুলো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দাদা মনমোহন দেবনাথ ৯৭ বছর বয়সে মারা যান।

আমার বাবা জগদীশ দেবনাথের (৭৫) জীবদ্দশায় এ গাছের গল্প শোনাতেন। বলতেন এগুলো জংলী গাছ, ফলের নামও জংলি ফল। ৬০ এর দশকের শেষের দিকে একে লটকন নামে বাজারে বিক্রি শুরু হয়। ওই তিনটি গাছের মগডাল কিছু মরে গেলেও এখনো ফলন ভালোই হয়। কালের সাক্ষী হয়ে আজো বেঁচে আছে গাছগুলো।

এ ব্যাপারে শিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সাদেক বলেন, এ পুরাতন গাছগুলোর কিছু কিছু মগডাল মরে যাচ্ছে। গাছগুলোতে ছত্রাক নাশক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। এত পুরাতন গাছ হওয়া সত্ত্বেও ফলন মোটামুটি ভালোই হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর