ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিভারপুল সমুদ্র সৈকতে মৎস্যকন্যার কঙ্কাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • ২২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৎস্যকন্যাদের সঙ্গে রূপকথার গল্পে পরিচয় হলেও মানুষ এর অস্তিত্ব বাস্তবে রয়েছে বলেও বিশ্বাস করেন। প্রাচীন অ্যাসিরিও সভ্যতায় প্রথম মারমেইড বা মৎস্যকন্যাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। ওই সময়ের প্রচলিত গল্প অনুযায়ী দেবী অ্যাটারগেটিস নাকি একবার ভুল করে তার এক মানুষ বন্ধুকে হত্যা করে ফেলেন। আর তারপরই তিনি দুঃখে এবং লজ্জায় দেবী থেকে পরিণত হন মৎস্যকন্যায়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লিভারপুলের একটি সমুদ্র সৈকতে মৎস্যকন্যার শারীরিক গঠনের ন্যায় একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। যেটি অনুরূপ মৎস্যকন্যার কঙ্কাল বলে মনে করা হচ্ছে! এই বিরল ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। হয়তো কল্পনার সেই মৎস্যকন্যার সঙ্গে মিল পেয়ে নেটিজেনরা মুগ্ধ হয়েছে এই কঙ্কাল দেখে।

প্রাচীন অ্যাসিরিও সভ্যতায় প্রথম মারমেইড বা মৎস্যকন্যাদের উল্লেখ পাওয়া যায়

প্রাচীন অ্যাসিরিও সভ্যতায় প্রথম মারমেইড বা মৎস্যকন্যাদের উল্লেখ পাওয়া যায়

গত ১ জুন এক ব্রিটিশ দম্পতি বেড়াতে গিয়েছিলেন লিভারপুলের সমুদ্র সৈকতে। সেখানেই ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ একটি অদ্ভুত জিনিস দেখে এগিয়ে যান স্ত্রী। আর তিনিই আবিষ্কার করেন এই কঙ্কালটি। তারপর সেটির ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেন। দেখতে দেখতে ভাইরাল হয়ে ওঠে সেই ছবি। তবে এই ছবি কতদূর সত্যি, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের লিভারপুল শহরের মের্সিসাইড সৈকতে পার্টিতে গিয়ে এই পরিবারটি এই মৎস্যকন্যার কঙ্কালটি খুঁজে পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ক্রিস্টি জোন্স নামে এক ব্যক্তি, তার গোটা পরিবারকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। তারা প্রত্যেকেই সামদ্রিক আবহাওয়া উপভোগ করছিলেন। তবে সেই পরিবারের কোনো এক সদস্য মৎস্যকন্যার কঙ্কালটি প্রথম দেখতে পান। শুরুতে তারা একটু ভয় পেলেও, সেই ভয় কাটিয়ে তারা আন্দাজ করে এটি অনুরূপ মৎস্যকন্যা।

কঙ্কালটি সন্ধানের বিষয়টি জানতে পেরে কর্তৃপক্ষ এটিকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও তারা বুঝতে পারছে না এটি কী। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তারা এটাকে একটি মৎস্যকন্যার কঙ্কাল হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন।

কলম্বাসের লগবুকেও রয়েছে মৎস্যকন্যার উল্লেখ

কলম্বাসের লগবুকেও রয়েছে মৎস্যকন্যার উল্লেখ

বাস্তবে মৎস্যকন্যা দেখেছেন এমন দাবি করা প্রথম ব্যক্তি ছিলেন কলম্বাস। নানা ব্যাপারে বিতর্কিত মানুষটি এই ব্যাপারে মনগড়া গল্প বলেছেন বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। ১৪৯৮ সালে আমেরিকা আবিষ্কার করে পৃথিবীর ইতিহাসে আলাদা করে জায়গা করে নেয়া কলম্বাসের লগবুকেও রয়েছে মৎস্যকন্যার উল্লেখ। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের লগ বুক অনুসারে তিনি যখন ক্যারিবিয়ান দ্বীপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন নাকি এক অর্ধমানবী অর্ধমাছকে সমুদ্রবেলায় বসে থাকতে দেখেছেন। এটিকে অনেকে উড়িয়ে দিলেও বিশ্বাসীরা একেই মানছেন মৎস্যকন্যাদের অস্তিত্বের সপক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হিসেবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

লিভারপুল সমুদ্র সৈকতে মৎস্যকন্যার কঙ্কাল

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৎস্যকন্যাদের সঙ্গে রূপকথার গল্পে পরিচয় হলেও মানুষ এর অস্তিত্ব বাস্তবে রয়েছে বলেও বিশ্বাস করেন। প্রাচীন অ্যাসিরিও সভ্যতায় প্রথম মারমেইড বা মৎস্যকন্যাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। ওই সময়ের প্রচলিত গল্প অনুযায়ী দেবী অ্যাটারগেটিস নাকি একবার ভুল করে তার এক মানুষ বন্ধুকে হত্যা করে ফেলেন। আর তারপরই তিনি দুঃখে এবং লজ্জায় দেবী থেকে পরিণত হন মৎস্যকন্যায়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লিভারপুলের একটি সমুদ্র সৈকতে মৎস্যকন্যার শারীরিক গঠনের ন্যায় একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। যেটি অনুরূপ মৎস্যকন্যার কঙ্কাল বলে মনে করা হচ্ছে! এই বিরল ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। হয়তো কল্পনার সেই মৎস্যকন্যার সঙ্গে মিল পেয়ে নেটিজেনরা মুগ্ধ হয়েছে এই কঙ্কাল দেখে।

প্রাচীন অ্যাসিরিও সভ্যতায় প্রথম মারমেইড বা মৎস্যকন্যাদের উল্লেখ পাওয়া যায়

প্রাচীন অ্যাসিরিও সভ্যতায় প্রথম মারমেইড বা মৎস্যকন্যাদের উল্লেখ পাওয়া যায়

গত ১ জুন এক ব্রিটিশ দম্পতি বেড়াতে গিয়েছিলেন লিভারপুলের সমুদ্র সৈকতে। সেখানেই ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ একটি অদ্ভুত জিনিস দেখে এগিয়ে যান স্ত্রী। আর তিনিই আবিষ্কার করেন এই কঙ্কালটি। তারপর সেটির ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেন। দেখতে দেখতে ভাইরাল হয়ে ওঠে সেই ছবি। তবে এই ছবি কতদূর সত্যি, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের লিভারপুল শহরের মের্সিসাইড সৈকতে পার্টিতে গিয়ে এই পরিবারটি এই মৎস্যকন্যার কঙ্কালটি খুঁজে পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ক্রিস্টি জোন্স নামে এক ব্যক্তি, তার গোটা পরিবারকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। তারা প্রত্যেকেই সামদ্রিক আবহাওয়া উপভোগ করছিলেন। তবে সেই পরিবারের কোনো এক সদস্য মৎস্যকন্যার কঙ্কালটি প্রথম দেখতে পান। শুরুতে তারা একটু ভয় পেলেও, সেই ভয় কাটিয়ে তারা আন্দাজ করে এটি অনুরূপ মৎস্যকন্যা।

কঙ্কালটি সন্ধানের বিষয়টি জানতে পেরে কর্তৃপক্ষ এটিকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও তারা বুঝতে পারছে না এটি কী। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তারা এটাকে একটি মৎস্যকন্যার কঙ্কাল হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন।

কলম্বাসের লগবুকেও রয়েছে মৎস্যকন্যার উল্লেখ

কলম্বাসের লগবুকেও রয়েছে মৎস্যকন্যার উল্লেখ

বাস্তবে মৎস্যকন্যা দেখেছেন এমন দাবি করা প্রথম ব্যক্তি ছিলেন কলম্বাস। নানা ব্যাপারে বিতর্কিত মানুষটি এই ব্যাপারে মনগড়া গল্প বলেছেন বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। ১৪৯৮ সালে আমেরিকা আবিষ্কার করে পৃথিবীর ইতিহাসে আলাদা করে জায়গা করে নেয়া কলম্বাসের লগবুকেও রয়েছে মৎস্যকন্যার উল্লেখ। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের লগ বুক অনুসারে তিনি যখন ক্যারিবিয়ান দ্বীপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন নাকি এক অর্ধমানবী অর্ধমাছকে সমুদ্রবেলায় বসে থাকতে দেখেছেন। এটিকে অনেকে উড়িয়ে দিলেও বিশ্বাসীরা একেই মানছেন মৎস্যকন্যাদের অস্তিত্বের সপক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হিসেবে।