তরমুজের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে রাজধানীবাসী মনে করছেন, কেজি দরে বিক্রির কারণেই এমন দাম উঠেছে। এতো ভারী একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না। এর মধ্যে রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে সবুজ তরমুজেও আগুন লেগেছে। যে আগুনে নিম্মমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার। অথচ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ইফতারের প্রধান উপকরণ হওয়ার কথা তরমুজ। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নানান অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়নি। এর ওপর চৈত্রের শুরুতেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করায় বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাঠ থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি করেছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, এখন আর মাঠে তরমুজ নেই। তাই বাজারে তরমুজের সরবরাহ কমেছে। আর তাই দামও বেড়েছে। আর ‘লকডাউনের’ কারণে দেশের বেশির ভাগ তরমুজ উৎপাদন হওয়া বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ আসতে পারছে না। এজন্য দাম বেশি।
তবে দাম বেশি কম যাই হোক, গরমের এই মৌসুমে তরমুজ খেলে বহুমুখী উপকার হয় বলে জানালেন ল্যাবএইড হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুর রহমান গালিব। তিনি বলেন, ‘সর্দি-কাশি, জ্বর ও ইউরিনের সমস্যায় তরমুজ খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। শরীরের জরুরি কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এই তরমুজ থেকে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় তরমুজ।’ তিনি আরও বলেন, ‘তরমুজের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া, তরমুজে ভিটামিন এ এবং সি থাকায় ত্বক ও চুল প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর রাখে।’