ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটা চরম মুহূর্তে জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৪২৮ বার

জিয়াউর রহমান সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন। বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি, যা টিকে আছে আজও। তার নেতেৃত্বের স্ফুরণ ঘটেছিলো ১৯৭১ সালেই, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে। তার উত্থান ছিল নাটকীয়তায় ভরা। মহিউদ্দিন আহমদ তার ‘বিএনপি সময়-অসময়’ শীর্ষক বইয়ে এসব কথা লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান ২৫শে মার্চ রাতে পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসেন। চট্টগ্রাম বন্দরে ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে গোলাবারুদ খালাস করার জন্য রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রশিদ জানজুয়া ক্যাপ্টেন চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে আদেশ দেন। পরে মত বদলে জিয়াকে বন্দরে যেতে বলেন। খালেকুজ্জামানের বর্ণনা মতে:
জানজুয়া বলেন, ‘জিয়া ইউ গো ফার্স্ট। খালিক উইল পলো ইউ।’ আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছে, হোয়াই ডিড হি এগ্রি টু গো? হাসির খবর এটা। আর্মিতে ট্রুপস হ্যাভ টু ওভে, ইউ ক্যান্ট রিফিউজ। জিয়া গাড়িতে উঠলেন। সঙ্গে দুজন অফিসার, সে. লে. হুমায়ুন এবং সে. লে. আজম। আমি ওপাশে গেলাম। জিয়া বললেন, খালেকুজ্জামান, কিছু শুনলে জানিও। দ্যাট ওয়াজ অ্যা মেসেজ ফ্রম আল্লাহ থ্রু হিম। গাড়ি চলে গেল। জানজুয়া বাসায় চলে গেলেন, আলহামরা বিল্ডিংয়ে। শওকত চলে গেলেন। ওলি চলে গেল ওপরে। আমি এখন চিন্তায় পড়ে গেলাম। তখন ওলি ওপর থেকে বলল, স্যার, আপনার একটা ফোন আসছে। আমি গেলাম। বাই দ্যাট টাইম ওলি হ্যাজ টক্ড। ফোনে ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব স্ট্যান্ডার্ড ব্যাক আবদুল কাদের। খুব ¯েœহ করতেন আমাকে, চাচার মত। বললেন, ‘ঢাকায় তো ইপিআরের ওখানে ফায়ারিং শুরু হয়ে গেছে। আর্মি হ্যাজ রেইডেড দ্য ক্যাম্পস। তোমরা কী করছ।’ আরও কিছু বললেন, আমাকে এক্সাইটেড করলেন। আমি ওলিকে বললাম, আই অ্যাম গোয়িং টু গেট ব্যাক আওয়ার বস জিয়া। দিস ইজ, আল্লাহ হ্যাজ ইনফিউজড সামথিং ইন মি।
পিকআপ আসলো। রাস্তায় ব্যারিকেড। দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের সামনে, ওখানে আল্লাহর রহমতে ওইটা (ব্যারিকেড) ছিল। জিয়া, লাইক এ ড্যান্ডি ম্যান, স্মার্ট, হাতে ফিল্টার উইলস, দ্যাট ফেমাস উইলস। সিগারেট খাচ্ছে। বললেন, ‘ইয়েস খালিক, হোয়াট হ্যাপেন্ড?’ আই সেইড, ফঅয়ারিং হ্যাজ স্টার্টেড। ইউপআর ক্যাম্প হ্যাজ বিন অ্যাটাকড, ব্লা ব্লা ব্লা। উনি তখন চিন্তা করলেন। ‘খালিকুজ্জামান, খালিকুজ্জ¥ান’। উনি শাউট করলে আমি আস্তে কথা বলি। সেম টোনে বলি না। বললাম, স্যার স্যার।
জিয়া: হোয়াট শ্যাল উই ডু?
আমি: ইউ নো বেটার।
জিয়া: ইন দ্যাট কেইস উই রিভোল্ট অ্যান্ড শো আওয়ার এলিজিয়েন্স টু দ্য গর্ভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের তখন কোন খবর নাই। লিডার হ্যাজ টু টেক লিডারশিপ। ফিরে এসে…হুমায়ুন আর আজম গাড়িতে বসা ছিল। তাদের কোয়াটার গার্ডে নেওয়া হলো। দে অয়্যার স্টান্ট। জিয়া বললেন, ‘খালিক লেট মি গো অ্যান্ড গেট দিজ বাস্টার্ড (জানজুয়া)।
২৫ মার্চের মধ্যরাতে জিয়ার নেতৃত্বে অষ্টম বেঙ্গলের বাঙ্গালি সদস্যরা বিদ্রোহ করলেন। এর আগে জিয়া সবার কাছে আনুগত্য চেয়েছিলেন। মেজর শওকতকে জিয়া ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিলেন। ইউনিট লাইনে তিনি শওকতকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আই হোপ, ইউ আর উইথ আস?….ইট ইজ বেটার টু সেটল দ্য ডিল বিফোর উই আর ইন অ্যা নিরিয়াস গেম।
ওখানে কনফিউশন, কেউ কিছু বলে না।
খালেকুজ্জামান শওকতকে বলেছিলেন, ‘স্যার বলেন না মেজনর জিয়া টু আই সি উইল টেক ওভার লিডারশিপ?’
শওকত বললেন, ‘ভাইসব, আপনারা শোনেন, এখন এখন টু আইসি সাহেব কিছু বলবেন।’
খালেকুজ্জামানের বর্ণনা অনুযায়ী: ‘ এ লিডার মাস্ট বি সিন অ্যান্ড হার্ড। খালি পর্দার পেছন থেকে লিডার যদি বলে, ইফেক্ট ইজ নটদ্য সেম। ড্রামটা ফেলে দিলাম। জিয়া তো মানুষ ছোটখাটো। ওনাকে কেউ ধরে টরে ওপরে দাঁড় করিয়ে দিল। দেন হি কুড স্ট্যান্ড। ইট ইজ অ্যা ফ্যাক্ট দ্যাট হি ডেলিভার্ড। ইউ আর বিইং লেড। ওয়ান হু ইজ বিইং লেড, তার অত চিন্তা আসে না। লিডার টেকস দ্য রেসপনসিবিলিটি। লিডারের চিন্তা বেশি। সো হি ওয়াজ অ্যাংগশাস।
একটা চরম মুহূর্তে জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান, ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ, ক্যাপ্টেন সাদেক হোসেন, লে. শমসের মবিন চৌধুরী, লে. মাহফুজুর রহমান এবং অষ্টম বেঙ্গলের অন্যান্য বাঙ্গালি সদস্যরা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন।
জিয়াইর রহমানকে নানা ভাবে ছোট করার চেষ্টা হয়েছে। মুক্তিযদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা একটি বইয়ের ভূমিকায় বইয়ের সম্পাদক শাহরিয়ার কবির উল্লেখ করেছেন , মেজর রফিকুল ইসলামের বিশাল গ্রন্থের কোথাও জিয়াউর রহমান নামে একজন সেক্টর কমান্ডার যে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তার কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না, যদিও জিয়ার রণকুশলতা সর্ম্পকে ভারতের ইষ্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল অরোরো যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন। রফিকুল ইসলামের বইটি ছাপা হয়েছে জিয়ার মৃত্যুর পর। শাহরিয়ার কবিরের মন্তব্য হলো, মেজর রফিকুল ইসলাম তার স্মৃতিকথায় অন্য সব প্রসঙ্গ উত্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিলেও জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে যে তিনি কাল ও প্রেক্ষিতের সুযোগ গ্রহণ করেছেন- একথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিভাজনের রাজনীতির বিয়োগান্ত শিকার হয়েছেন যে কয়েকজন, জিয়াউর রহমান তাদের একজন। জিয়া শেখ মুজিবকে নেতা মানতেন এবং সব সময় তার সর্ম্পকে ইতিবাচক কথা বলতেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে যথেষ্ট সম্মান দেয়নি ‘আমরা বীরের সম্মান দিতে জানি না। কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলাদেশের একজন মাত্র মুক্তিযোদ্ধার ছবি আছে, বুকের ওপর দু-হাত আড়াআড়ি করে দাঁড়ানো। তিনি জিয়াউর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

একটা চরম মুহূর্তে জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলেন

আপডেট টাইম : ১১:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

জিয়াউর রহমান সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন। বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি, যা টিকে আছে আজও। তার নেতেৃত্বের স্ফুরণ ঘটেছিলো ১৯৭১ সালেই, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে। তার উত্থান ছিল নাটকীয়তায় ভরা। মহিউদ্দিন আহমদ তার ‘বিএনপি সময়-অসময়’ শীর্ষক বইয়ে এসব কথা লিখেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান ২৫শে মার্চ রাতে পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসেন। চট্টগ্রাম বন্দরে ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে গোলাবারুদ খালাস করার জন্য রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রশিদ জানজুয়া ক্যাপ্টেন চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে আদেশ দেন। পরে মত বদলে জিয়াকে বন্দরে যেতে বলেন। খালেকুজ্জামানের বর্ণনা মতে:
জানজুয়া বলেন, ‘জিয়া ইউ গো ফার্স্ট। খালিক উইল পলো ইউ।’ আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেছে, হোয়াই ডিড হি এগ্রি টু গো? হাসির খবর এটা। আর্মিতে ট্রুপস হ্যাভ টু ওভে, ইউ ক্যান্ট রিফিউজ। জিয়া গাড়িতে উঠলেন। সঙ্গে দুজন অফিসার, সে. লে. হুমায়ুন এবং সে. লে. আজম। আমি ওপাশে গেলাম। জিয়া বললেন, খালেকুজ্জামান, কিছু শুনলে জানিও। দ্যাট ওয়াজ অ্যা মেসেজ ফ্রম আল্লাহ থ্রু হিম। গাড়ি চলে গেল। জানজুয়া বাসায় চলে গেলেন, আলহামরা বিল্ডিংয়ে। শওকত চলে গেলেন। ওলি চলে গেল ওপরে। আমি এখন চিন্তায় পড়ে গেলাম। তখন ওলি ওপর থেকে বলল, স্যার, আপনার একটা ফোন আসছে। আমি গেলাম। বাই দ্যাট টাইম ওলি হ্যাজ টক্ড। ফোনে ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব স্ট্যান্ডার্ড ব্যাক আবদুল কাদের। খুব ¯েœহ করতেন আমাকে, চাচার মত। বললেন, ‘ঢাকায় তো ইপিআরের ওখানে ফায়ারিং শুরু হয়ে গেছে। আর্মি হ্যাজ রেইডেড দ্য ক্যাম্পস। তোমরা কী করছ।’ আরও কিছু বললেন, আমাকে এক্সাইটেড করলেন। আমি ওলিকে বললাম, আই অ্যাম গোয়িং টু গেট ব্যাক আওয়ার বস জিয়া। দিস ইজ, আল্লাহ হ্যাজ ইনফিউজড সামথিং ইন মি।
পিকআপ আসলো। রাস্তায় ব্যারিকেড। দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের সামনে, ওখানে আল্লাহর রহমতে ওইটা (ব্যারিকেড) ছিল। জিয়া, লাইক এ ড্যান্ডি ম্যান, স্মার্ট, হাতে ফিল্টার উইলস, দ্যাট ফেমাস উইলস। সিগারেট খাচ্ছে। বললেন, ‘ইয়েস খালিক, হোয়াট হ্যাপেন্ড?’ আই সেইড, ফঅয়ারিং হ্যাজ স্টার্টেড। ইউপআর ক্যাম্প হ্যাজ বিন অ্যাটাকড, ব্লা ব্লা ব্লা। উনি তখন চিন্তা করলেন। ‘খালিকুজ্জামান, খালিকুজ্জ¥ান’। উনি শাউট করলে আমি আস্তে কথা বলি। সেম টোনে বলি না। বললাম, স্যার স্যার।
জিয়া: হোয়াট শ্যাল উই ডু?
আমি: ইউ নো বেটার।
জিয়া: ইন দ্যাট কেইস উই রিভোল্ট অ্যান্ড শো আওয়ার এলিজিয়েন্স টু দ্য গর্ভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের তখন কোন খবর নাই। লিডার হ্যাজ টু টেক লিডারশিপ। ফিরে এসে…হুমায়ুন আর আজম গাড়িতে বসা ছিল। তাদের কোয়াটার গার্ডে নেওয়া হলো। দে অয়্যার স্টান্ট। জিয়া বললেন, ‘খালিক লেট মি গো অ্যান্ড গেট দিজ বাস্টার্ড (জানজুয়া)।
২৫ মার্চের মধ্যরাতে জিয়ার নেতৃত্বে অষ্টম বেঙ্গলের বাঙ্গালি সদস্যরা বিদ্রোহ করলেন। এর আগে জিয়া সবার কাছে আনুগত্য চেয়েছিলেন। মেজর শওকতকে জিয়া ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিলেন। ইউনিট লাইনে তিনি শওকতকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আই হোপ, ইউ আর উইথ আস?….ইট ইজ বেটার টু সেটল দ্য ডিল বিফোর উই আর ইন অ্যা নিরিয়াস গেম।
ওখানে কনফিউশন, কেউ কিছু বলে না।
খালেকুজ্জামান শওকতকে বলেছিলেন, ‘স্যার বলেন না মেজনর জিয়া টু আই সি উইল টেক ওভার লিডারশিপ?’
শওকত বললেন, ‘ভাইসব, আপনারা শোনেন, এখন এখন টু আইসি সাহেব কিছু বলবেন।’
খালেকুজ্জামানের বর্ণনা অনুযায়ী: ‘ এ লিডার মাস্ট বি সিন অ্যান্ড হার্ড। খালি পর্দার পেছন থেকে লিডার যদি বলে, ইফেক্ট ইজ নটদ্য সেম। ড্রামটা ফেলে দিলাম। জিয়া তো মানুষ ছোটখাটো। ওনাকে কেউ ধরে টরে ওপরে দাঁড় করিয়ে দিল। দেন হি কুড স্ট্যান্ড। ইট ইজ অ্যা ফ্যাক্ট দ্যাট হি ডেলিভার্ড। ইউ আর বিইং লেড। ওয়ান হু ইজ বিইং লেড, তার অত চিন্তা আসে না। লিডার টেকস দ্য রেসপনসিবিলিটি। লিডারের চিন্তা বেশি। সো হি ওয়াজ অ্যাংগশাস।
একটা চরম মুহূর্তে জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান, ক্যাপ্টেন অলি আহমেদ, ক্যাপ্টেন সাদেক হোসেন, লে. শমসের মবিন চৌধুরী, লে. মাহফুজুর রহমান এবং অষ্টম বেঙ্গলের অন্যান্য বাঙ্গালি সদস্যরা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন।
জিয়াইর রহমানকে নানা ভাবে ছোট করার চেষ্টা হয়েছে। মুক্তিযদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা একটি বইয়ের ভূমিকায় বইয়ের সম্পাদক শাহরিয়ার কবির উল্লেখ করেছেন , মেজর রফিকুল ইসলামের বিশাল গ্রন্থের কোথাও জিয়াউর রহমান নামে একজন সেক্টর কমান্ডার যে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তার কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না, যদিও জিয়ার রণকুশলতা সর্ম্পকে ভারতের ইষ্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল অরোরো যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন। রফিকুল ইসলামের বইটি ছাপা হয়েছে জিয়ার মৃত্যুর পর। শাহরিয়ার কবিরের মন্তব্য হলো, মেজর রফিকুল ইসলাম তার স্মৃতিকথায় অন্য সব প্রসঙ্গ উত্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিলেও জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে যে তিনি কাল ও প্রেক্ষিতের সুযোগ গ্রহণ করেছেন- একথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিভাজনের রাজনীতির বিয়োগান্ত শিকার হয়েছেন যে কয়েকজন, জিয়াউর রহমান তাদের একজন। জিয়া শেখ মুজিবকে নেতা মানতেন এবং সব সময় তার সর্ম্পকে ইতিবাচক কথা বলতেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে যথেষ্ট সম্মান দেয়নি ‘আমরা বীরের সম্মান দিতে জানি না। কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলাদেশের একজন মাত্র মুক্তিযোদ্ধার ছবি আছে, বুকের ওপর দু-হাত আড়াআড়ি করে দাঁড়ানো। তিনি জিয়াউর রহমান।