হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। একই সঙ্গে ডাটাকার্ড ও বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার ঢাকায় নিজ দফতরে মন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটাকার্ড ও বিশেষ সীলমোহর উদ্বোধন করেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পথ বেয়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।
মন্ত্রী মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করা হয়। ১৭ এপ্রিল এ সরকার শপথ গ্রহণ করে। এ সরকারে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপ্রধান ও বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদকে পররাষ্ট্র, আইন এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র, কৃষি, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়। চারজন মন্ত্রীকে ১২টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়। ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা বিদ্রোহী হয়ে পড়তাম। ফলে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন কার্যাবলি পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে এ সরকারের কর্মসূচি এবং গঠন কাঠামো কত ব্যাপক এবং সুসংগঠিত ছিল।
মন্ত্রী বলেন, ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সিদ্ধান্ত ও এর ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ হয়েছিল।
এদিকে দশ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরোতে পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে এসব ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।