হাওর বার্তা ডেস্কঃ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ বছরে তিন বছর আগাম বন্যায় ফসলহানির শিকার হন হাওরের কৃষক। এছাড়া রয়েছে ধান কাটার শ্রমিকের সংকট। হাওরবাসীর কষ্টার্জিত এ ফসল তোলার সময় দাম থাকে না, যখন দাম থাকে তখন কৃষকের ঘরে ফসল থাকে না।
বছরের ৬ মাস হাওরবাসীকে কর্মহীন থাকতে হয়। গড়ে ওঠেনি তেমন কোন শিল্প. কল-কারখানা। করোনার কারণেও তারা সংকটে পড়েছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মো. জুলফিকার রহমান।
সভায় অন্যদের মধ্যে সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মো. মোখলেছুর রহমান, বিএডিসি’র উপপরিচালক (বীজ বিপনন) মো. হুমায়ুন কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মো. মতিউর রহমান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার টিম লিডার রেহানা পারভীন, ফ্যামিলি টাইস এর নির্বাহী পরিচালক খুজিস্থা বেগম জোনাকী, নারীনেত্রী বিলকিছ বেগম, কিশোরগঞ্জ উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিনা ইয়াসমিন কাকলী, সাংবাদিক শফিক আদনান, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
হাওর অঞ্চলের সাত জেলার দুই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে বক্তারা বলেন, হাওরের ধান, মাছ, প্রাণিসম্পদ তথা কৃষি অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে বাস্তবানুগ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষ করে হাওরের প্রধান ফসল বোরো ধান উৎপাদনে অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম অথচ বেকার জনগোষ্ঠীকে কৃষিভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ সভায় জানান, করোনাকালে হাওরবাসীর দুর্দশা লাঘবে জাপান সরকার এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।