হাওর বার্তা ডেস্কঃ হরেক রকম মশলার মধ্যে আদা অন্যতম। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর জুড়ি নেই। তবে আদা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
রান্না ছাড়াও কাঁচা আদায় রয়েছে দারুণ সব উপকারিতা। এটি আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক আদা খেলে কী কী রোগ থেকে মুক্তি মিলবে-
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
আদার রস শরীর শীতল করে। এটি হার্টের জন্য উপকারী। প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়া ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।
আদা ক্যান্সাররোধী
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ওভারির ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা। সুতরাং ক্যান্সার এর অনেক ভালো প্রতিরোধক।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আদা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা খুবই উপকারী।
পেটের রোগ নিরাময় করে
আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
হজমের সমস্যা রোধে
রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতে আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়বে। আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে।
বমি রোধে
অনেক সময় আমাদের দেহে অস্থিরতা কাজ করে, তখন কোনো কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। বমি বমিভাব বা বমি হয়ে যায়। এমন সময় আপনি যদি আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করেন, তাহলে তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন।
ক্ষতস্থান পূরণ করতে
দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে। এছাড়া পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর।