হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র হাজী মো. শাহীন (ধানের শীষ) তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের কমলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহারে বলা হয়, ভৈরব পৌর শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন, শিক্ষা বিস্তারে পৌর এলাকায় একাধিক পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, পৌর পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা, পুরাতন ফেরিঘাট থেকে কোদালকাটি ব্রীজ পর্যন্ত বাঁধসহ রাস্তা নির্মাণ, শহরের যানজট নিরসনে জগন্নাথপুর বেনী বাজার থেকে রামনগর রেলব্রীজ ও পঞ্চবটি থেকে কাঠবাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, পৌরবাসীর সুবিধার্থে হোল্ডিং ট্যাক্স কমানো, ব্যবসার ধরণ ও পরিধি বিবেচনা করে সকল প্রকার ট্রেড লাইসেন্স ফি কমিয়ে আনা, বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ পূর্বের নামে ফিরিয়ে আনা ও জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রশস্ত ও আধুনিক ড্রেনেজ নির্মাণসহ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
মেয়র প্রার্থী হাজী মো. শাহীন বলেন, ‘ভৈরব পৌর নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু কীভাবে ভোট দিতে হবে সেই প্রচারণা নেই। ইভিএম পদ্ধতিটি নতুন। এ কারণে কয়েকদিন আগ থেকে নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো উচিত ছিল।’
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে অন্য বক্তারা বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ভৈরব পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুজনই খুব ভালো মানুষ। তবে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। কারণ ইতোমধ্যে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী বিভিন্ন পথসভা করতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। দলীয় বাধার মুখে কয়েকটি পথসভা তারা করতেও পারেনি।
বক্তারা আরো বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমান একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন, জেতার জন্য কখনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেননি। তাই এর আগে হাজী মো. শাহীন জনগণের ভোটের মাধ্যমে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এর ধারাবাহিকতায় এবারের পৌরসভা নির্বাচনেও বক্তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইশতেহার ঘোষণা ও সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন নিউজ মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।