রান্নার স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় আদা। কিন্তু শুধু মশলা হিসেবেই নয়, বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ সারাতেও আদার জুড়ি নেই। আদার উপকারিতা আর ব্যবহারের নিয়ম থাকলে ঘরে বসেই নিজের এবং পরিবারের অন্যদের বিভিন্ন অসুখ সারিয়ে নিতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক-
ঋতু পরিবর্তনের সময় কারো কারো মাইগ্রেন, অ্যাজমার সমস্যা দেখা যায়। এই সময়কার খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন। সর্দি-কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে আরাম পাওয়া যায়।
আর্টারি ওয়ালে ব্যাড কোলস্টেরল ও ফ্যাটি অ্যাসিড জমে করোনারি হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়। ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধা দেখা যায়। আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
গা গোলানো ও বমিভাব থেকে রেহাই পেতে খানিকটা আদা কুচি চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। সমস্যা অনেকটা কমবে।
জ্বর হলে কিংবা ঠাণ্ডা লাগলে আদা খেতে পারেন। কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ঠাণ্ডার মধ্যে আদা চা বেশ আরামদায়ক।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে। টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করায়, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।
আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে সারা দিনের খাবারে অল্প পরিমাণে আদা রাখার চেষ্টা করুন। আদা দিয়ে চা খেতে পারেন, সালাদে আদার সরু, লম্বা কুচি মেশাতে পারেন। ব্যথার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ঘন ঘন পেইনকিলার খাওয়ার অভ্যেস কমিয়ে হার্বাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে আদা খেয়ে দেখতে পারেন।
আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে। ক্যানসার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে আদা উপকারী।
আদা হজমে সাহায্য করে।
গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে আদা।