ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিচ্ছে সৌদি এবং পাকিস্তান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দাবি করেছে যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গোপনে বৈঠকে বসেছিল। যদিও রিয়াদের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে এই গোপন বৈঠক ইঙ্গিত দিচ্ছে শিগগিরই হয়তো ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে সৌদি আরব

ইসরাইল আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে যে শান্তিচুক্তি করেছে সেটিও সম্ভব ছিল না সৌদি আরবের সমর্থন ছাড়া। এদিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে যাতে তারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়।

মক্কার সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদ আল-হারামের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান ইবন আবদুল আজিজ আস-সুদাইস গত সেপ্টেম্বরে একটি খুতবায় ইহুদিদের সাথে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ব্যাখ্যা করেন। এই বছরের শুরুতে মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের মহাসচিব আব্দুল কারিম আল ইসা পোল্যান্ড সফর করেন। সেখানে তিনি একটি ভাষণে বলেন যে ইহুদিবিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় দায়িত্ব।

এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত মুসলিম ধর্মীয় নেতারাও মত দিয়েছে মুসলিমদের উচিৎ বিভিন্ন ধর্মের সঙ্গে মিলে চলা। সুদানের ধর্মীয় নেতা শেখ আব্দেল রহমান হাসান ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে বলেছেন যে, ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বিরোধী দল নেই।

এছাড়া আমিরাতের একজন ধর্মীয় নেতা সম্প্রতি ইসরাইলের সঙ্গে মুসলিমদের বিরোধীতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ওয়াসিম ইউসুফ নামে ওই ধর্মীয় নেতা বলেন, আমি যখন দেখি যে শান্তিচুক্তির কারণে ফিলিস্তিনে আমাদের পতাকা পুড়ানো হচ্ছে তখনা আমার ইচ্ছা হয় ইসরাইলের কাছে আমাদের অতীতের কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়া পক্ষে আওয়াজ তুলেছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) -এর হুদাইবিয়ার চুক্তির কথা উল্লেখ তিনি ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষ থেকে কথা বলেন।

হুদাইবিয়ার সন্ধি মার্চের ৬২৮ খ্রীষ্টাব্দে মদিনা শহরবাসী এবং কুরাইশ গোত্রের মধ্যে সম্পাদিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। এই সন্ধিটি একটি দশ বছর শান্তি প্রতিষ্ঠিত করে এবং মুহাম্মদ (সা.) কে পরের বছর হজ্জের সময় মক্কার দিকে আসতে অনুমোদন করে। পবিত্র কোরাআনে এই সন্ধিকে প্রকাশ্য বিজয় হিসাবে অভিহিত করা হয়।

সৌদি আরবের ও পাকিস্তানের এই আচরণগুলোই বলে দিচ্ছে হয়তো ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে তারা। যা এক দশক আগেও কল্পনা বলে মনে হতো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর