ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ইন্টারনেটের ইতিহাস প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে শুরু হয়েছেঃ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০
  • ২০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাটার অপপ্রয়োগ রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডাটার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিশেষত ব্যক্তিগত ডাটার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  ডাটা অনেক ক্ষেত্রে মানুষে মানুষে সংঘাত ও সমস্যা সৃষ্টিসহ নানাবিধ খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। ফেসবুকে কোন কোন সময় ডাটার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাস, মানহানি, গুজব ছড়ানো, অপপ্রচার, রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করার অপচেষ্টা হয়ে থাকে। দেশে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। ডাটার অপপ্রয়োগ রোধে সম্মিলিত উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

আজ শুক্রবার ঢাকায় ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত সংস্থার ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে ‘ইন্টারনেট ফর হিউমেন রেজিলেন্স অ্যান্ড উইথ ইকুইটি লেন্স উয়েক অ্যান্ড মিসিং ভয়েসেস’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিআইজিএফ সভাপতি, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, গুগল এশিয়া প্যাসিফিক, সিঙ্গাপুর এর কর্মকর্তা তেনজিন নরভু, আইকান এর এশিয়া প্যাসিফিক এর ম্যানেজার ঝিয়া রন-লু, ইন্টারনেট গভর্নমেন্ট সাপোর্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট মারকাস কুমার, নেপাল ইন্টারনেট ফোরাম কর্মকর্তা বাবু রাম আরিয়ান এবং আইসিটি ব্যক্তিত্ব বজলুর রহমান বক্তৃতা করেন।

দেশে কম্পিউটার বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিকাশের ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার হাত ধরে দেশে ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়ন শুরু হয়।

তিনি বলেন, কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবের ফসল হিসেবে আজ সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দোরগোড়ায় উপনীত হয়েছে। তিনি ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপদ থেকে আত্মরক্ষার উপায় জানতে হবে। প্রযুক্তির পাশাপাশি ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সচেতনতা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। গত ১১ বছরে তা ১০ কোটি অতিক্রম করেছে। তিনি বাংলাকে টপ লেভেল ডোমেইনে অন্তর্ভুক্ত করতে বিআইজিএফ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ দিয়েছেন, এটি সমৃদ্ধ করার দায়িত্ব আমাদের। তিনি উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বেগবান করতে সকলের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে বলেন, ইন্টারনেট হচ্ছে বৈষম্য থেকে মুক্তি দেওয়ার বড় হাতিয়ার।

তিনি ডাটা নিরাপত্তা আইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে তিনি আখ্যায়িত করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশে ইন্টারনেটের ইতিহাস প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে শুরু হয়েছেঃ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাটার অপপ্রয়োগ রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডাটার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিশেষত ব্যক্তিগত ডাটার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  ডাটা অনেক ক্ষেত্রে মানুষে মানুষে সংঘাত ও সমস্যা সৃষ্টিসহ নানাবিধ খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। ফেসবুকে কোন কোন সময় ডাটার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাস, মানহানি, গুজব ছড়ানো, অপপ্রচার, রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করার অপচেষ্টা হয়ে থাকে। দেশে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। ডাটার অপপ্রয়োগ রোধে সম্মিলিত উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

আজ শুক্রবার ঢাকায় ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত সংস্থার ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে ‘ইন্টারনেট ফর হিউমেন রেজিলেন্স অ্যান্ড উইথ ইকুইটি লেন্স উয়েক অ্যান্ড মিসিং ভয়েসেস’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিআইজিএফ সভাপতি, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, গুগল এশিয়া প্যাসিফিক, সিঙ্গাপুর এর কর্মকর্তা তেনজিন নরভু, আইকান এর এশিয়া প্যাসিফিক এর ম্যানেজার ঝিয়া রন-লু, ইন্টারনেট গভর্নমেন্ট সাপোর্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট মারকাস কুমার, নেপাল ইন্টারনেট ফোরাম কর্মকর্তা বাবু রাম আরিয়ান এবং আইসিটি ব্যক্তিত্ব বজলুর রহমান বক্তৃতা করেন।

দেশে কম্পিউটার বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিকাশের ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার হাত ধরে দেশে ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়ন শুরু হয়।

তিনি বলেন, কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবের ফসল হিসেবে আজ সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দোরগোড়ায় উপনীত হয়েছে। তিনি ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপদ থেকে আত্মরক্ষার উপায় জানতে হবে। প্রযুক্তির পাশাপাশি ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সচেতনতা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। গত ১১ বছরে তা ১০ কোটি অতিক্রম করেছে। তিনি বাংলাকে টপ লেভেল ডোমেইনে অন্তর্ভুক্ত করতে বিআইজিএফ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ দিয়েছেন, এটি সমৃদ্ধ করার দায়িত্ব আমাদের। তিনি উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বেগবান করতে সকলের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে বলেন, ইন্টারনেট হচ্ছে বৈষম্য থেকে মুক্তি দেওয়ার বড় হাতিয়ার।

তিনি ডাটা নিরাপত্তা আইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে তিনি আখ্যায়িত করেন।