হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে এই সমস্যার কথা অধিকাংশ নারীর মধ্যে দেখা যায়। এটি যেন একটি সাধারণ ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা পিসিওএস হতে দেখা যায়। পিসিওএস-এ আক্রান্ত নারীদের মধ্যে পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেনের লেভেল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
এই রোগের কারণ হিসেবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং অগোছালো জীবনযাত্রাকেই দায়ী করা হয়। এক্ষেত্রে নারীদের ডিম্বাশয়ে সিস্ট দেখা দেয়। যাদের পিসিওএস হয় তাদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
তবে ঘরোয়া কিছু খাবারও আমনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় এই খাবারগুলোকে বলা হচ্ছে পিসিওএস-এর দাওয়াই। তাহলে জেনে নিন কোন খাবারগুলো আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে-
মধু
প্রায় সর্ব রোগের সেরা দাওয়াই এই মধু। এটি একদিকে যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। অন্যদিকে বিভিন্ন রোগ সারাতেও ওস্তাদ। মধু খেয়েও পিসিওএস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক চামচ মধু, লেবু, হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি পিসিওএস-এর অবস্থার উন্নতি করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসি
ফ্ল্যাক্সসিড ফাইবার, ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য অর্থাৎ যে কারণে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম দেখা দেয়, ফ্ল্যাক্সসিড তা কম করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। এই বীজ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তারপর পান করতে পারেন। আবার এটি গুঁড়া করে সকালে খালি পেটে পানিতে মিশিয়েও খেতে পারেন।
দারুচিনি
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি অত্যন্ত উপকারী। এটি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া দারুচিনি পিসিওএস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করতে পারে। দই এবং মিল্কশেকের সঙ্গে এটি খেতে পারেন। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করুন।
মেথি
মেথি ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, মেথি শরীরের গ্লুকোজ সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ায়। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। মেথি বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে পান করুন। মেথি বীজ পিসিওএস নিয়ন্ত্রণেও খুব উপকারী।