হাওর বার্তা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক চালকসহ ১৩ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার হলেও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আগুনমুখা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭ জন যাত্রীসহ আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৭ যাত্রী এবং একজন চালকসহ স্পিডবোটটি তলিয়ে যায়। পরে দেড়ঘণ্টা পর দুইটি স্পিডবোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ।
নিখোঁজ ব্যাক্তিরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ (৪৫), কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তাফিজ (৩৫), এনজিও কর্মী হুমায়ুন কবির হোসেন (২৮), হাসান (৩৫) ইমরান (৩৪)।
উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়। উদ্ধার হওয়া একাধিক যাত্রী জানায়, আমরা বার বার চালককে স্পিডবোট ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে আসতে বলেছি। কিন্তু সে আমাদের কথা শোনেনি।
কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটের আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের কোড়ালিয়াঘাটের ম্যানেজার বশির উদ্দিন বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খবর শুনেছি। আমরা ঘাটে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ছাড়ার কথা নয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে স্পিডবোট ছাড়াও ঠিক হয়নি। আমি ঘাটে এসেছি, খোঁজ খবর নিচ্ছি।