ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফোনের এই ফিচারই হতে পারে নারীর নিরাপত্তার বড় হাতিয়ার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
  • ২০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। এই ফোনে প্রয়োজনীয় এমন অনেক ফিচার রয়েছে যা আমাদের কখনো কখনো বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। তেমনই একটি ফিচার ইমার্জেন্সি এসওএস (SOS)। এই ফিচারটি এক্টিভেট করলে বিপদের মুহূর্তে নিমিষেই কাছের কয়েকজনকে বার্তা পৌঁছে দেয়া যাবে। ফলে নিরাপত্তার সুযোগ বেড়ে যাবে কয়েক গুণ।

মূলত কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে পুলিশ কিংবা পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা থেকেই এসওএসের উৎপত্তি। চরম বিপদের মূহুর্তেও তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য এই পদ্ধতি সর্বপ্রথম চালু করে জার্মান সরকার। সমুদ্রে কোনো জাহাজ বিপদের সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিক স্টেশনে সিগন্যাল পাঠাতে এই ধারণার উৎপত্তি হয়। এসওএসের পূর্ণরূপ হচ্ছে  সেভ আওয়ার সোউল বা সেভ আওয়ার শিপ (SOS- “Save Our Soul”/”Save Our Ship)”।

পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই ফিচারটি যুক্ত করা হয়। এটি অন করে রাখলে আপনি যেকোনো মূহুর্তে আক্রমণের শিকার হলে আক্রমণকারীর অগোচরে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ৪ জনের সঙ্গে আপনার কয়েকটি তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। এগুলো হলো আপনার ৫ সেকেন্ডের ভয়েস, দুটি ছবি এবং আপনার বর্তমান লোকেশন।

বিপদের মুহূর্তে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে এসওএস

বিপদের মুহূর্তে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে এসওএস

প্রশ্ন উঠতে পারে, এত কিছুর জন্য তো সময় দরকার। অন্যদিকে কেউ আক্রমণ করলে এগুলো শেয়ার মতো সময় কীভাবে পাওয়া যাবে? তবে এসওএস চালু রাখলে আপনাকে ফোন আনলক করা, ডাটা/ওয়াইফাই অন করা, লোকেশন অন করা এমনকি ফোনের স্ক্রিনও অন করতে হবে না।

এসওএস এক্টিভেট করা থাকলে শুধুমাত্র আপনার ফোনের পাওয়ার বাটন একসঙ্গে পরপর তিনবার চাপতে হবে। ডিভাইস ভেদে অবশ্য এই সংখ্যা ভিন্ন হবে, যেমন শাওমি ফোনে 5 বার চাপতে হয়। এটি করলে মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডর মধ্যে এসওএস মেসেজের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন স্ক্রিন অফ থাকলেও আপনা আপনি ফোনের ডাটা, ওয়াইফাই, লোকেশন, ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন অন হয়ে যাবে।

এরপর সর্বোচ্চ ১ মিনিটের মাঝে আপনার সিলেক্ট করা চারজনের কাছে ভয়েস, আপনার লোকেশন, ছবিসহ মেসেজ চলে যাবে। এসওএস চালু করা থাকলে আপনাকে শুধু বিপদের মুহূর্তে পড়ার আগে তিন-পাঁচবার ফোনের পাওয়ার বাটন চাপতে হবে।

যেভাবে এসওএস সেট করা যায়

যেভাবে এসওএস সেট করা যায়

নিরাপত্তার জন্য অসাধারণ এই ব্যবস্থা ব্যবহারে আপনাকে কোনো অ্যাপস কিংবা একাউন্ট খুলতে হবে না। বর্তমান যুগের প্রায় সব ফোনেই এই সিস্টেমটি পাবেন। শুধুমাত্র অপশনটি অন করে চারজনের মোবাইল নাম্বার সেট করে রাখলেই হবে।

মোবাইল নাম্বার হিসেবে আপনার নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নাম্বার এবং যেকোনো সময়ে আপনার কাছে পৌঁছাতে পারবে এমন তিনজন ব্যক্তির নাম্বার রাখতে পারে।

এসওএস মেসেজ চালু করার জন্য আপনার ফোনের সেটিংসে গিয়ে SOS লিখে সার্চ দিন। এরপর সেখানে বর্ণিত অপশনগুলো পূরন করে সেগুলো অন করে রাখুন এবং সর্বোচ্চ চারজনের নাম্বার যুক্ত করুন। বাইরে বের হওয়ার আগে অন্তত একটি এসএমএস বা এমএমএস পাঠানো যায় এমন ব্যালেন্স থাকলেই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফোনের এই ফিচারই হতে পারে নারীর নিরাপত্তার বড় হাতিয়ার

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। এই ফোনে প্রয়োজনীয় এমন অনেক ফিচার রয়েছে যা আমাদের কখনো কখনো বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। তেমনই একটি ফিচার ইমার্জেন্সি এসওএস (SOS)। এই ফিচারটি এক্টিভেট করলে বিপদের মুহূর্তে নিমিষেই কাছের কয়েকজনকে বার্তা পৌঁছে দেয়া যাবে। ফলে নিরাপত্তার সুযোগ বেড়ে যাবে কয়েক গুণ।

মূলত কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে পুলিশ কিংবা পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা থেকেই এসওএসের উৎপত্তি। চরম বিপদের মূহুর্তেও তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য এই পদ্ধতি সর্বপ্রথম চালু করে জার্মান সরকার। সমুদ্রে কোনো জাহাজ বিপদের সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিক স্টেশনে সিগন্যাল পাঠাতে এই ধারণার উৎপত্তি হয়। এসওএসের পূর্ণরূপ হচ্ছে  সেভ আওয়ার সোউল বা সেভ আওয়ার শিপ (SOS- “Save Our Soul”/”Save Our Ship)”।

পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই ফিচারটি যুক্ত করা হয়। এটি অন করে রাখলে আপনি যেকোনো মূহুর্তে আক্রমণের শিকার হলে আক্রমণকারীর অগোচরে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ৪ জনের সঙ্গে আপনার কয়েকটি তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। এগুলো হলো আপনার ৫ সেকেন্ডের ভয়েস, দুটি ছবি এবং আপনার বর্তমান লোকেশন।

বিপদের মুহূর্তে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে এসওএস

বিপদের মুহূর্তে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে এসওএস

প্রশ্ন উঠতে পারে, এত কিছুর জন্য তো সময় দরকার। অন্যদিকে কেউ আক্রমণ করলে এগুলো শেয়ার মতো সময় কীভাবে পাওয়া যাবে? তবে এসওএস চালু রাখলে আপনাকে ফোন আনলক করা, ডাটা/ওয়াইফাই অন করা, লোকেশন অন করা এমনকি ফোনের স্ক্রিনও অন করতে হবে না।

এসওএস এক্টিভেট করা থাকলে শুধুমাত্র আপনার ফোনের পাওয়ার বাটন একসঙ্গে পরপর তিনবার চাপতে হবে। ডিভাইস ভেদে অবশ্য এই সংখ্যা ভিন্ন হবে, যেমন শাওমি ফোনে 5 বার চাপতে হয়। এটি করলে মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডর মধ্যে এসওএস মেসেজের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন স্ক্রিন অফ থাকলেও আপনা আপনি ফোনের ডাটা, ওয়াইফাই, লোকেশন, ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন অন হয়ে যাবে।

এরপর সর্বোচ্চ ১ মিনিটের মাঝে আপনার সিলেক্ট করা চারজনের কাছে ভয়েস, আপনার লোকেশন, ছবিসহ মেসেজ চলে যাবে। এসওএস চালু করা থাকলে আপনাকে শুধু বিপদের মুহূর্তে পড়ার আগে তিন-পাঁচবার ফোনের পাওয়ার বাটন চাপতে হবে।

যেভাবে এসওএস সেট করা যায়

যেভাবে এসওএস সেট করা যায়

নিরাপত্তার জন্য অসাধারণ এই ব্যবস্থা ব্যবহারে আপনাকে কোনো অ্যাপস কিংবা একাউন্ট খুলতে হবে না। বর্তমান যুগের প্রায় সব ফোনেই এই সিস্টেমটি পাবেন। শুধুমাত্র অপশনটি অন করে চারজনের মোবাইল নাম্বার সেট করে রাখলেই হবে।

মোবাইল নাম্বার হিসেবে আপনার নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নাম্বার এবং যেকোনো সময়ে আপনার কাছে পৌঁছাতে পারবে এমন তিনজন ব্যক্তির নাম্বার রাখতে পারে।

এসওএস মেসেজ চালু করার জন্য আপনার ফোনের সেটিংসে গিয়ে SOS লিখে সার্চ দিন। এরপর সেখানে বর্ণিত অপশনগুলো পূরন করে সেগুলো অন করে রাখুন এবং সর্বোচ্চ চারজনের নাম্বার যুক্ত করুন। বাইরে বের হওয়ার আগে অন্তত একটি এসএমএস বা এমএমএস পাঠানো যায় এমন ব্যালেন্স থাকলেই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন।