হাওর বার্তা ডেস্কঃ খুব ভালো একটি অভিজ্ঞতা হলো। সাত মাস পর স্টেজ শোতে গাইলাম। চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমীর ইলিশ উৎসবে গান গাইলাম। ঢাকার বাইরে এতদিন পর এই শোতে পারফর্ম করে বেশ ভালো লাগছে। এমনভাবেই মানবজমিনকে কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এফ এ সুমন। ফোক গান দিয়েই তিনি শ্রোতাদের মন জয় করেছেন অনেক আগেই। তার বেশ কিছু গানই ইউটিউবেও কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। সারা দেশের আনাচে কানাচে শ্রোতাদের মুখে মুখে রয়েছে সুমনের বেশ কিছু গান।
লকডাউনে বেশিরভাগ সময় ঘরবন্দি ছিলেন এ সংগীতশিল্পী। তবে এবার সাত মাস পর চাঁদপুরে স্টেজ শো করলেন তিনি। এ বিষয়ে এফ এ সুমন আরো বলেন, এ শোটি বেশ ভালো হয়েছে। সামনের সপ্তাহেই আরো একটি শো রয়েছে। তাহলে কি স্টেজ শো শুরু হচ্ছে ধীরে ধীরে? সুমন উত্তরে বলেন, আসলে সব কিছুই তো চলছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ চলাফেরাও করছে। কিন্তু স্টেজ শোই শুধু বন্ধ। আমি মনে করি এ বিষয়টির ওপর সরকারের সুদৃষ্টি দরকার। কারণ স্টেজ নির্ভর শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের অবস্থা কিন্তু ভালো নেই। আমরা যারা গান তৈরিও করি তাদের কথা আলাদা। কিন্তু কতদিন আর এভাবে স্টেজ শো বন্ধ থাকবে! এদিকে লকডাউনে এফ এ সুমন নিজের নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। সেই চ্যানেলে গানও প্রকাশ করছেন নিয়মিত। গত সপ্তাহেই নিজের এই চ্যানেলে সুমন প্রকাশ করেছেন ‘এ কেমন বেঈমানী’ শীর্ষক গানের ভিডিও। এরইমধ্যে গানটি থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন। সুমন বলেন, লকডাউনে বেশ কিছু কাজ করেছি। এরমধ্যে এই চ্যানেলটি অবমুক্ত করেছি। বেশ কিছু গান করেছি। ভিডিও এডিটিং ও ক্যামেরা পরিচালনা শিখেছি। সব মিলিয়ে সময়টাকে কাজে লাগনোর চেষ্টা ছিলো। এখন সংগীত ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? এফ এ সুমন বলেন, ইন্ডাস্ট্রিকে এখন সময় উপযোগী কাজে নামতে হবে। ইউটিউবের পাশাপাশি অন্যান্য প্ল্যাটফরম গুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আসলে এখন নতুন প্রজন্ম লাইকি কিংবা টিকটকে ব্যস্ত। ভিন্ন স্বাদের কিছু না পেলে তারা গান শুনছে কম। তবে আমি মনে করি ভালো গান হলে সার্বিকভাবে ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন হবে। সময় নিলেও ভালো গান একটা না একটা সময় শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নেয়।