হাওর বার্তা ডেস্কঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড আজ শুক্রবার সকালে এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে তারা দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার, যা গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ১২ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার। এর ফলে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) শাখার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। মে মাসের শেষ থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। আবারও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজীপুর উপজেলার পাটাগ্রাম ও শাহজাদপুর উপজেলার ব্রক্ষণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার জায়গা অরক্ষিত রয়েছে। এখানে ভাঙন ছিল। ভাঙন রোধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অনুমোদন হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।