ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ফের বন্যার আশঙ্কায় সিরাজগঞ্জের মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২১২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড আজ শুক্রবার সকালে এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে তারা দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার, যা গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ১২ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার। এর ফলে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) শাখার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। মে মাসের শেষ থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। আবারও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজীপুর উপজেলার পাটাগ্রাম ও শাহজাদপুর উপজেলার ব্রক্ষণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার জায়গা অরক্ষিত রয়েছে। এখানে ভাঙন ছিল। ভাঙন রোধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অনুমোদন হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ফের বন্যার আশঙ্কায় সিরাজগঞ্জের মানুষ

আপডেট টাইম : ০২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড আজ শুক্রবার সকালে এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে তারা দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার, যা গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ১২ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার। এর ফলে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) শাখার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। মে মাসের শেষ থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। আবারও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজীপুর উপজেলার পাটাগ্রাম ও শাহজাদপুর উপজেলার ব্রক্ষণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার জায়গা অরক্ষিত রয়েছে। এখানে ভাঙন ছিল। ভাঙন রোধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অনুমোদন হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।