শামুকের পাশাপাশি ঝিনুক সংরক্ষণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশজ প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শামুকের পাশাপাশি ঝিনুকও সংরক্ষণ করার তাগাদা দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মৎস্য সেক্টর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মৎস্য অধিদফতর।

প্রধানমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল গণভবন থেকে একনেক সভায় অংশ নেন।

সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী, সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন। একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসহ প্রকল্প বিস্তারিত তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘দেশজ যা কিছু আছে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রত্যেকটাকে আমরা সংরক্ষণ করবো। শামুক নিয়ে প্রকল্প আছে, ঝিনুককেও আনতে হবে। কাঁকড়াকেও আনতে হবে। বাংলাদেশের যা প্রাণিজ, জলজ, ভূমিজ সম্পদ আমাদের আছে, প্রত্যেকটা আইটেমকে কাজে আনতে হবে’।”

প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল বার্তা হলো দেশি প্রজাতির মাছ। এগুলোকে বাঁচানো, সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করা। তার সঙ্গে সঙ্গে শামুক, যা একটি জলজ প্রাণী। শামুক নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী খুবই খুশি যে, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কারণ, উনার বাড়ি ওই অঞ্চলে। কোটালিপাড়ায় শামুক থেকে চুন হয়। উনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, ‘আপনারা যে গুণগান করছেন শামুক নিয়ে, হাঁসের খাবার হয়। আরেকটা যে কাজ হয়, সেটা মনে আছে ? চুন হয়’।

এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু মানুষের স্বাধীনতা নয়, বাংলার প্রকৃতি পরিবেশ সংরক্ষণ হলো আমাদের আরেকটা উদ্দেশ্য। আমরা নাগরিকরা যারা মানুষ, প্রকৃতির সামান্য অংশ। সুতরাং আমাদের শামুক, টেংরা-পুঁটি এদেরও সংরক্ষণ করা উচিত। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য তাই।

একনেক সভায় ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪৪০ কোটি ৯৮ লাখ এবং বিদেশি ঋণ ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর