ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসি বিস্ফোরণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
  • ১৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিন দিন গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। গরম থেকে বাঁচতে কম-বেশি সবাই এখন বাসায় এসি ব্যবহার করছেন। এছাড়া অফিসে এসি ছাড়া কাজ করাটাই কষ্টকর। তবে এসি যতটা সুখময় ঠিক ততোটাই বিপজ্জনক। কারণ এসি বিস্ফোরণে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ঘটনা আমরা সবাই জানি।

এসি বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুনে পুড়ে অনেকেরই মৃত্যু ঘটেছে। তাই এসি বিস্ফোরণের বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া জরুরি। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক এসি বিস্ফোরণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে-

বিস্ফোরণের কারণ

> এসির পাওয়ার কেবল সঠিক স্পেক–এর ব্যবহার না করলে।

> এসির কনডেনসারে ময়লা থাকলে কম্প্রেসরে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

> এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে এসির ভেতরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।

> কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

> কম্প্রেসরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।

> সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।

> কম্প্রেসরে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে কম্প্রেসরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

> সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।

এসি বিস্ফোরণ প্রতিকারের উপায়

> ভালো মানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা।

> এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।

> কম্প্র্রেসারে হাই টেম্পারেচার এবং হাই প্রেশার তৈরি হচ্ছে কি না পরীক্ষা করা।

> এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না পরীক্ষা করা।

> কম্প্র্রেসারে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না তা অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষা করা।

> কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।

> সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।

> বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্র্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।

> নিম্নমানের অখ্যাত কিংবা নকল ব্র্যান্ডের এসি ও কম্প্র্রেসর কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।

> সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।

> বারান্দা কিংবা খুব কাছে না রেখে ঘরের বাইরে এসি আউটডোর সেট করা।

> দীর্ঘদিন পর এসি চালু করার আগে একজন দক্ষ সার্ভিস এক্সপার্ট দিয়ে এসিটি পরীক্ষা করে নেয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এসি বিস্ফোরণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি

আপডেট টাইম : ০২:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিন দিন গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। গরম থেকে বাঁচতে কম-বেশি সবাই এখন বাসায় এসি ব্যবহার করছেন। এছাড়া অফিসে এসি ছাড়া কাজ করাটাই কষ্টকর। তবে এসি যতটা সুখময় ঠিক ততোটাই বিপজ্জনক। কারণ এসি বিস্ফোরণে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ঘটনা আমরা সবাই জানি।

এসি বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুনে পুড়ে অনেকেরই মৃত্যু ঘটেছে। তাই এসি বিস্ফোরণের বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া জরুরি। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক এসি বিস্ফোরণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে-

বিস্ফোরণের কারণ

> এসির পাওয়ার কেবল সঠিক স্পেক–এর ব্যবহার না করলে।

> এসির কনডেনসারে ময়লা থাকলে কম্প্রেসরে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

> এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে এসির ভেতরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।

> কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

> কম্প্রেসরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।

> সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।

> কম্প্রেসরে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে কম্প্রেসরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

> সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।

এসি বিস্ফোরণ প্রতিকারের উপায়

> ভালো মানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা।

> এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।

> কম্প্র্রেসারে হাই টেম্পারেচার এবং হাই প্রেশার তৈরি হচ্ছে কি না পরীক্ষা করা।

> এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না পরীক্ষা করা।

> কম্প্র্রেসারে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না তা অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষা করা।

> কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।

> সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।

> বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্র্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।

> নিম্নমানের অখ্যাত কিংবা নকল ব্র্যান্ডের এসি ও কম্প্র্রেসর কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।

> সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।

> বারান্দা কিংবা খুব কাছে না রেখে ঘরের বাইরে এসি আউটডোর সেট করা।

> দীর্ঘদিন পর এসি চালু করার আগে একজন দক্ষ সার্ভিস এক্সপার্ট দিয়ে এসিটি পরীক্ষা করে নেয়া।