ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ঢামেকে আবারও ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩ বার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ডালিয়া আক্তার সামিয়া (৩২) নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ওই নারীর শরীরে চিকিৎসকদের অ‍্যাপ্রোন ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলানো ছিল। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় তাকে আজ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাকে ঢামেক বার্ন ইউনিট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেন বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে সামিয়া নামে এক নারীকে এপ্রোন পড়া অবস্থায় আটক করে আমাদের সংবাদ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আটক ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছেন। এ ঘটনায় সামিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।  আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ’

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে সামিয়া স্বীকার করেছেন তিনি চিকিৎসক না, এক রোগীর সঙ্গে এসে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকের কাছে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে তদন্তের পর সামিয়ার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। গ্রেপ্তার সামিয়ার বাড়ি তুরাগ এলাকায়। ’

বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা কেরানীগঞ্জের জিনজিরার বাসিন্দা মো. আরমান বলেন, ‘বছর খানিক আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পাই। পরে দীর্ঘদিন ধরে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছি। সৌদি প্রবাসী আমার এক খালাতো ভাইয়ের দুঃসম্পর্কের বোন হয় সামিয়া। বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমার চিকিৎসার সময়ে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। আজ সকালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ফলোআপে আসি। আসার আগে এই আপাকে জানাই। পরে উনাকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে তিনি ভুয়া পরিচয় দিয়েছিলেন কিনা বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি। আমি তেমন পড়াশোনা জানি না। সেখানকার চিকিৎসক তার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলেছিলেন। পরে এক পর্যায়ে সেখানে কর্তব্যরত আনসারদের ডেকে এনে তাদের কাছে সামিয়াকে তুলে দেন ওই চিকিৎসক। এ সময় ওই চিকিৎসক বলেন,‘‘সামিয়া চিকিৎসক না হয়ে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছেন। তিনি একজন প্রতারক”। ’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এপ্রোন পরা ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি ডা. পরিচয় দিলেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তার কাছ থেকে কোনো ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি প্রফেসনাল প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

ঢামেকে আবারও ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৬:১৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ডালিয়া আক্তার সামিয়া (৩২) নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ওই নারীর শরীরে চিকিৎসকদের অ‍্যাপ্রোন ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলানো ছিল। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় তাকে আজ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাকে ঢামেক বার্ন ইউনিট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেন বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে সামিয়া নামে এক নারীকে এপ্রোন পড়া অবস্থায় আটক করে আমাদের সংবাদ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আটক ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছেন। এ ঘটনায় সামিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।  আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ’

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে সামিয়া স্বীকার করেছেন তিনি চিকিৎসক না, এক রোগীর সঙ্গে এসে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকের কাছে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে তদন্তের পর সামিয়ার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। গ্রেপ্তার সামিয়ার বাড়ি তুরাগ এলাকায়। ’

বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা কেরানীগঞ্জের জিনজিরার বাসিন্দা মো. আরমান বলেন, ‘বছর খানিক আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পাই। পরে দীর্ঘদিন ধরে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছি। সৌদি প্রবাসী আমার এক খালাতো ভাইয়ের দুঃসম্পর্কের বোন হয় সামিয়া। বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমার চিকিৎসার সময়ে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। আজ সকালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ফলোআপে আসি। আসার আগে এই আপাকে জানাই। পরে উনাকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে তিনি ভুয়া পরিচয় দিয়েছিলেন কিনা বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি। আমি তেমন পড়াশোনা জানি না। সেখানকার চিকিৎসক তার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলেছিলেন। পরে এক পর্যায়ে সেখানে কর্তব্যরত আনসারদের ডেকে এনে তাদের কাছে সামিয়াকে তুলে দেন ওই চিকিৎসক। এ সময় ওই চিকিৎসক বলেন,‘‘সামিয়া চিকিৎসক না হয়ে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছেন। তিনি একজন প্রতারক”। ’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এপ্রোন পরা ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি ডা. পরিচয় দিলেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তার কাছ থেকে কোনো ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি প্রফেসনাল প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’