ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইটনায় এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে যেসব শর্ত দিলেন পুতিন রান্না শেখাচ্ছেন পড়শী, ঈদে দেখা যাবে অভিনয় আর গানে শিমের রাজ্য সীতাকুণ্ড ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, কৃষকের হাসি জাতিসংঘ, মহাসচিব, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান হরেদরে সবাইকে শাহবাগী বলা বন্ধ করতে হবে: মাহফুজ আলম পেঁয়াজের দাম না পেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পাবনার চাষিরা পাচারকালে নারী শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, দালাল আটক

২-৩ মিনিটের মধ্যেই শেষ ট্রেনের টিকেট, হতাশ টিকেট প্রত্যাশীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • ২০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত কোরবানির ঈদেও টিকেট কাটার চিত্র ছিল ভিন্ন। কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কাউন্টারের সামনে মধ্যরাত থেকেই ছিলো টিকেট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু করোনায় বদলে গেছে অনেক কিছুই। করোনাকালে এবারের ঈদে অনেক রুটের ট্রেন বন্ধ। ঢাকা থেকে মাত্র ১৭টি রুটে চলছে ট্রেন। বাকি সবগুলোই বন্ধ। যে কারণে রেলের টিকেট প্রত্যাশীদের বাড়তি চাপ।  এ বিষয়ে অনেকেই কারসাজির অভিযোগ করে রেলের ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অনলাইন কিংবা অ্যাপে টিকেট প্রত্যাশীদের অভিযোগ, ‘টিকেট কাটার নির্ধারিত সময়ে অ্যাপ অচল হয়ে পড়ছে। লোডিং দেখায়, হ্যাং হয়ে থাকে। টার্ন করে না। ‘

কেউ কেউ আবার টিকেট কাটতে না পেরে হতাশ হয়ে বলছেন, সকাল ৬টা সময় সাথে সাথে কয়েকমিনিট সার্ভার ডাউন থাকে।  তার ৪-৫ মিনিট পর আর সিট পাওয়া যায় না।

আবার শেষ মুহূর্তে গিয়ে টাকার জন্য বিকাশ নম্বর চাওয়ার সময় দেখায় টিকেট শেষ, এমন অভিযোগও করছেন অনেকে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রির সহযোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস লিঃ (সিএনএস) এর পরিচালক ইকরাম ইকবাল সময় সংবাদকে জানান, এবার ট্রেনের সংখ্যা কম কিন্তু টিকেটের চাহিদা বেশী হওয়ার ফলে সবাই টিকেট পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, অল্প টিকেটের বিপরীতে বহু সংখ্যক মানুষ এক সাথে সার্ভারে ক্লিক করছে অনবরত। একারণে হয়ত সার্ভারের কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে আমাদের প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকেট বিক্রি করার কথা রয়েছে আমরা সেই পরিমাণ বিক্রি করতে পারছি। তাছাড়া করোনার কারণে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসনের অর্ধেক টিকেট বিক্রি হচ্ছে ফলে টিকেটের চাহিদাও বেশী। প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকেট বিক্রির জন্য বরাদ্দ তার চেয়ে বহুগুণ বেশী মানুষ টিকেটের জন্য সার্ভারে ক্লিক করেই যাচ্ছেন ফলে বেশীর ভাগই টিকেট বঞ্চিত হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এবার সব গন্তব্যেরই একটির বেশী ট্রেন নাই ফলে চাহিদা অনেক তাই প্রত্যাশীদের বেশীর ভাগই টিকেট পাচ্ছেন না। এখানে সিএনএস বিডির কোনো কারসাজি নেই।

টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীদের নানা অভিযোগ ও টিকেটের অব্যবস্থা নিয়ে শনিবার (২৫ জুলাই) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন।

তিনি লিখেছেন, ২৯/০৭/২০২০ তারিখের ট্রেনের টিকেট দেয়া হয়েছে ভোর ৬টা থেকে। ১ সেকেন্ডের অনেক কম সময়ে টিকেট কেটে ফেলেছে ৫০১ জন। এরপর ২ সেকেন্ডের কম সময়ে কেটেছে ২২২ জন। এরপর মাত্র ৪/৫ সেকেন্ডে কেটেছে ৩৭২ জন। এভাবে সকাল ৮.২৫ মিনিট পর্যন্ত কেটেছে সর্বমোট ৪২২৬ জন। সকাল ১০.৫২ পর্যন্ত টিকেট পেয়েছে ৫১৪৪ জন। আপনারা এদের পিছনে ছিলেন বলেই টিকেট পাননি। দেখেছেন, সাইট হ্যাং হয়ে আছে। করোনার কারণে এবার সামান্য ট্রেন, সামান্য টিকেট।

এসব বিষয়ে ইকরাম ইকবাল বলেন, একসাথে টিকেট কাটার জন্য ওয়েব সাইটে ৩/৪ লাখ লোক ক্লিক করতে পারেন সুতরাং অল্প সময়ে টিকেট বিক্রি হবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া টিকেট প্রত্যাশীরা টিকেট কাটার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাত থেকেই সার্ভার ওপেন করে বসে থাকেন ভোর ৬ টায় টিকেট ওপেন হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্লিক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

২-৩ মিনিটের মধ্যেই শেষ ট্রেনের টিকেট, হতাশ টিকেট প্রত্যাশীরা

আপডেট টাইম : ১০:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত কোরবানির ঈদেও টিকেট কাটার চিত্র ছিল ভিন্ন। কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কাউন্টারের সামনে মধ্যরাত থেকেই ছিলো টিকেট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু করোনায় বদলে গেছে অনেক কিছুই। করোনাকালে এবারের ঈদে অনেক রুটের ট্রেন বন্ধ। ঢাকা থেকে মাত্র ১৭টি রুটে চলছে ট্রেন। বাকি সবগুলোই বন্ধ। যে কারণে রেলের টিকেট প্রত্যাশীদের বাড়তি চাপ।  এ বিষয়ে অনেকেই কারসাজির অভিযোগ করে রেলের ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অনলাইন কিংবা অ্যাপে টিকেট প্রত্যাশীদের অভিযোগ, ‘টিকেট কাটার নির্ধারিত সময়ে অ্যাপ অচল হয়ে পড়ছে। লোডিং দেখায়, হ্যাং হয়ে থাকে। টার্ন করে না। ‘

কেউ কেউ আবার টিকেট কাটতে না পেরে হতাশ হয়ে বলছেন, সকাল ৬টা সময় সাথে সাথে কয়েকমিনিট সার্ভার ডাউন থাকে।  তার ৪-৫ মিনিট পর আর সিট পাওয়া যায় না।

আবার শেষ মুহূর্তে গিয়ে টাকার জন্য বিকাশ নম্বর চাওয়ার সময় দেখায় টিকেট শেষ, এমন অভিযোগও করছেন অনেকে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রির সহযোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস লিঃ (সিএনএস) এর পরিচালক ইকরাম ইকবাল সময় সংবাদকে জানান, এবার ট্রেনের সংখ্যা কম কিন্তু টিকেটের চাহিদা বেশী হওয়ার ফলে সবাই টিকেট পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, অল্প টিকেটের বিপরীতে বহু সংখ্যক মানুষ এক সাথে সার্ভারে ক্লিক করছে অনবরত। একারণে হয়ত সার্ভারের কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে আমাদের প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকেট বিক্রি করার কথা রয়েছে আমরা সেই পরিমাণ বিক্রি করতে পারছি। তাছাড়া করোনার কারণে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসনের অর্ধেক টিকেট বিক্রি হচ্ছে ফলে টিকেটের চাহিদাও বেশী। প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকেট বিক্রির জন্য বরাদ্দ তার চেয়ে বহুগুণ বেশী মানুষ টিকেটের জন্য সার্ভারে ক্লিক করেই যাচ্ছেন ফলে বেশীর ভাগই টিকেট বঞ্চিত হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এবার সব গন্তব্যেরই একটির বেশী ট্রেন নাই ফলে চাহিদা অনেক তাই প্রত্যাশীদের বেশীর ভাগই টিকেট পাচ্ছেন না। এখানে সিএনএস বিডির কোনো কারসাজি নেই।

টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীদের নানা অভিযোগ ও টিকেটের অব্যবস্থা নিয়ে শনিবার (২৫ জুলাই) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন।

তিনি লিখেছেন, ২৯/০৭/২০২০ তারিখের ট্রেনের টিকেট দেয়া হয়েছে ভোর ৬টা থেকে। ১ সেকেন্ডের অনেক কম সময়ে টিকেট কেটে ফেলেছে ৫০১ জন। এরপর ২ সেকেন্ডের কম সময়ে কেটেছে ২২২ জন। এরপর মাত্র ৪/৫ সেকেন্ডে কেটেছে ৩৭২ জন। এভাবে সকাল ৮.২৫ মিনিট পর্যন্ত কেটেছে সর্বমোট ৪২২৬ জন। সকাল ১০.৫২ পর্যন্ত টিকেট পেয়েছে ৫১৪৪ জন। আপনারা এদের পিছনে ছিলেন বলেই টিকেট পাননি। দেখেছেন, সাইট হ্যাং হয়ে আছে। করোনার কারণে এবার সামান্য ট্রেন, সামান্য টিকেট।

এসব বিষয়ে ইকরাম ইকবাল বলেন, একসাথে টিকেট কাটার জন্য ওয়েব সাইটে ৩/৪ লাখ লোক ক্লিক করতে পারেন সুতরাং অল্প সময়ে টিকেট বিক্রি হবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া টিকেট প্রত্যাশীরা টিকেট কাটার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাত থেকেই সার্ভার ওপেন করে বসে থাকেন ভোর ৬ টায় টিকেট ওপেন হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্লিক।