ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইটনায় এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে যেসব শর্ত দিলেন পুতিন রান্না শেখাচ্ছেন পড়শী, ঈদে দেখা যাবে অভিনয় আর গানে শিমের রাজ্য সীতাকুণ্ড ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, কৃষকের হাসি জাতিসংঘ, মহাসচিব, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান হরেদরে সবাইকে শাহবাগী বলা বন্ধ করতে হবে: মাহফুজ আলম পেঁয়াজের দাম না পেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পাবনার চাষিরা পাচারকালে নারী শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, দালাল আটক

রাজধানীর হাটে কোরবানি পশু আসছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • ২০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে রাজধানীতে পশুর হাট বসছে। তবে ঈদুল আজহা দরজায় কড়া নাড়লেও এখনো জমে উঠেনি অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। তবে পশু আসতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত কোরবানির পশু থাকলেও হাটে এখনও ক্রেতা খুবই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার অনলাইনে পশু কেনাবেচা বাড়ায় ক্রেতা কিছুটা কম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহানগরীর মানুষের পশু বাড়ায় রাখার সুযোগ নেই। তাই প্রতিবছরই ঈদের দুই-তিনদিন আগে রাজধানীর পশুর হাটগুলো জমে উঠে। এবারও তেমনটা হবে বলে তারা আশাবাদী।

ক্যালেন্ডারের হিসেবে মতে, আগামী পহেলা আগস্ট বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই অনুযায়ী ঈদের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে এলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশুর হাট এখনও জমজমাট হয়ে উঠেনি।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনির আখড়া পশুর হাটে অর্ধশত গরু উঠেছে। বিক্রেতারা জানান, এখনো একটি গরুও বিক্রিয় হয়নি। ভাষানটেক পশুর হাটে মাত্র চারটি গরু নিয়ে ব্যাপারীরা অপেক্ষা করছেন ক্রেতার জন্য। এখনও বাসানো হয়নি গরু বাঁধার খুঁটি। হাট চালু কারার কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির অস্থায়ী পশুর বড় হাটগুলোর মধ্যে কমলাপুর হাট অন্যতম। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, টিটিপাড়ায় হাটে শতাধিক গরু নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঈদের আগের দুদিন মূলত বিক্রি হবে পশু। তারপরও আগেই হাটে নিয়ে এসেছি।

ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে কচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাটে। গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় লেম পোস্টে মই দিয়ে লাগানো হচ্ছে মাইক আর হ্যালোজেন লাইট। এর থেকে একটু এগিয়ে দেখা যায় ডেকোরেটরের লোকজন মাটি খুঁড়ে গরু বাঁধার খুঁটি বসাচ্ছেন। এই হাটে এসেছে প্রায় একশ গরু। ক্রেতা এখনো দেখা যায়নি। আশপাশের লোকজন ও কিশোরদের গরু হাটে ঘুরতে দেখা যায়।

ভাষানটেক পশুর হাটের ব্যাপারী আব্দুল মালেক বলেন, ২০ দিন আগে বগুড়া থেকে চারটা গরু নিয়ে এখানে আসছি। আমার এই চারটি গরুতে খরচ হয়েছে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। লাল গরুটার দাম উঠছে ৯৫ হাজার টাকা। আর সাদা গরুর দাম চাই এক লাখ টাকা। এখন বাজার দরের অপেক্ষায় আছি। যে দাম আসবে সেই দামে বিক্রি করবো। লাভ-ক্ষতি যাই হোক বিক্রি করে বাড়ি যাবো।

কচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাটের ব্যাপারী মো. খালেক বলেন, সকালে গরু নিয়ে হাটে আসছি। এবার পাবনার ফরিদপুর থেকে ১৯টি গরু এনেছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক বড়-বড় ব্যাপারীরা এবার হাটে কম গরু এনেছেন। আমি গত পাঁচ ধরে হাটে গরু আনি। এবারও এনেছি, যা হওয়ার হবে, আল্লাহ ভরসা। আমার পাঁচটি গরু নিজের গোয়ালের আর বাকি গরু আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিনে হাটে নিয়ে আসছি। আমার ১৯টি গরুতে খরচ পড়েছে ২৩ লাখ টাকা। আশা করছি এই বাজারে ২৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো, বাকি আল্লাহর ইচ্ছায়। শনির আখড়ার হাটের একজন বিক্রেতা বলেন, এবার ক্রেতারা হাটে কম আসতে পারে। অনলাইনে গরু কেনাবেচা হবে। আমাদের এখানে সব ধরেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাটের কার্যক্রম চলবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

রাজধানীর হাটে কোরবানি পশু আসছে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে রাজধানীতে পশুর হাট বসছে। তবে ঈদুল আজহা দরজায় কড়া নাড়লেও এখনো জমে উঠেনি অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। তবে পশু আসতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত কোরবানির পশু থাকলেও হাটে এখনও ক্রেতা খুবই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার অনলাইনে পশু কেনাবেচা বাড়ায় ক্রেতা কিছুটা কম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহানগরীর মানুষের পশু বাড়ায় রাখার সুযোগ নেই। তাই প্রতিবছরই ঈদের দুই-তিনদিন আগে রাজধানীর পশুর হাটগুলো জমে উঠে। এবারও তেমনটা হবে বলে তারা আশাবাদী।

ক্যালেন্ডারের হিসেবে মতে, আগামী পহেলা আগস্ট বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই অনুযায়ী ঈদের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে এলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশুর হাট এখনও জমজমাট হয়ে উঠেনি।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনির আখড়া পশুর হাটে অর্ধশত গরু উঠেছে। বিক্রেতারা জানান, এখনো একটি গরুও বিক্রিয় হয়নি। ভাষানটেক পশুর হাটে মাত্র চারটি গরু নিয়ে ব্যাপারীরা অপেক্ষা করছেন ক্রেতার জন্য। এখনও বাসানো হয়নি গরু বাঁধার খুঁটি। হাট চালু কারার কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির অস্থায়ী পশুর বড় হাটগুলোর মধ্যে কমলাপুর হাট অন্যতম। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, টিটিপাড়ায় হাটে শতাধিক গরু নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঈদের আগের দুদিন মূলত বিক্রি হবে পশু। তারপরও আগেই হাটে নিয়ে এসেছি।

ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে কচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাটে। গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় লেম পোস্টে মই দিয়ে লাগানো হচ্ছে মাইক আর হ্যালোজেন লাইট। এর থেকে একটু এগিয়ে দেখা যায় ডেকোরেটরের লোকজন মাটি খুঁড়ে গরু বাঁধার খুঁটি বসাচ্ছেন। এই হাটে এসেছে প্রায় একশ গরু। ক্রেতা এখনো দেখা যায়নি। আশপাশের লোকজন ও কিশোরদের গরু হাটে ঘুরতে দেখা যায়।

ভাষানটেক পশুর হাটের ব্যাপারী আব্দুল মালেক বলেন, ২০ দিন আগে বগুড়া থেকে চারটা গরু নিয়ে এখানে আসছি। আমার এই চারটি গরুতে খরচ হয়েছে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। লাল গরুটার দাম উঠছে ৯৫ হাজার টাকা। আর সাদা গরুর দাম চাই এক লাখ টাকা। এখন বাজার দরের অপেক্ষায় আছি। যে দাম আসবে সেই দামে বিক্রি করবো। লাভ-ক্ষতি যাই হোক বিক্রি করে বাড়ি যাবো।

কচুক্ষেত বাজার গরু-ছাগলের হাটের ব্যাপারী মো. খালেক বলেন, সকালে গরু নিয়ে হাটে আসছি। এবার পাবনার ফরিদপুর থেকে ১৯টি গরু এনেছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক বড়-বড় ব্যাপারীরা এবার হাটে কম গরু এনেছেন। আমি গত পাঁচ ধরে হাটে গরু আনি। এবারও এনেছি, যা হওয়ার হবে, আল্লাহ ভরসা। আমার পাঁচটি গরু নিজের গোয়ালের আর বাকি গরু আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিনে হাটে নিয়ে আসছি। আমার ১৯টি গরুতে খরচ পড়েছে ২৩ লাখ টাকা। আশা করছি এই বাজারে ২৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো, বাকি আল্লাহর ইচ্ছায়। শনির আখড়ার হাটের একজন বিক্রেতা বলেন, এবার ক্রেতারা হাটে কম আসতে পারে। অনলাইনে গরু কেনাবেচা হবে। আমাদের এখানে সব ধরেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাটের কার্যক্রম চলবে।