কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের তথ্যমতে, ২ লাখ ৪১ হাজার ৩১৭ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলতি মৌসুমে দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়। চট্টগ্রাম জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৫৬ হাজার ৪২ হেক্টর। হাইব্রিড চাষ হয়েছে ৯ হাজার ৫৯৬ হেক্টর ও উফশী ৪৬ হাজার ৪৪৬ হেক্টর। শতভাগ ধান কেটে বোরো ঘরে তোলা গেছে ২ লাখ ২০ হাজার ৭৭১ মেট্রিক টন। এর মধ্যে হাইব্রিড ৪৬ হাজার ১২০ মেট্রিক টন ও উফশী এক লাখ ৭৪ হাজার ৬৫১।
কক্সবাজার জেলায় ৫২ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়। হাইব্রিড চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৭৭০ হেক্টর, উফশী ৪৩ হাজার ৭৫ হেক্টর ও স্থানীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৪০ হেক্টর। এখানেও শতভাগ ধান কেটে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪৯ মেট্রিক টন বোরো পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৪২ হাজার ৯৬৮ মেট্রিক টন, উফশী এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৯৩ ও স্থানীয় পর্যায়ে ২ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন বোরো ধান ঘরে তুলেছেন কৃষকরা।
নোয়াখালী জেলায় ৬৫ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়। হাইব্রিড চাষ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৮০ হেক্টর ও উফশী ১৫ হাজার ৬৬০ হেক্টর। শতভাগ ধান কেটে বোরো পাওয়া গেছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বোরো দুই লাখ ৪৪ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন ও উফশী ৫৯ হাজার ৫০৮ মেট্রিক টন ফসল ঘরে তোলা হয়েছে।
ফেনী জেলায় ২৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়। হাইব্রিড চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫৬০ হেক্টর ও উফশী ২৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর। এখানেও শতভাগ ধান কেটে পাওয়া গেছে ১ লাখ ৪ হাজার ২৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে হাইব্রিড ১২ হাজার ২২১ ও উফশী ৯১ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন।
লক্ষ্মীপুরে ২৯ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে এবার। হাইব্রিড চাষ হয় ৯ হাজার ৫১০ হেক্টর, উফশী ২০ হাজার ৭৫ ও স্থানীয় পর্যায়ের ধান ১০০ হেক্টর। এখানেও শতভাগ ধান কেটে কৃষকরা বোরো ঘরে তুলেছেন এক লাখ ২৩ হাজার ৯৭ মেট্রিক টন। এরমধ্যে হাইব্রিড ৪৫ হাজার ৬৪৮, উফশী ৭৭ হাজার ২৮৯ ও স্থানীয় ১৬০ মেট্রিক টন।
এ মৌসুমে সব মিলিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে চাষ করে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন বোরো ধান ঘরে তুলেছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে আশানুরূপ ফসল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষকরাও সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।