হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসে দিশেহারা পুরো দুনিয়া। বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালানো এই ভাইরাস ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে ৫ লাখের বেশি প্রাণ এবং মরণ থাবায় ঘায়েল করেছে ১ কোটির বেশি মানুষকে। চিকিত্সা বিশেষজ্ঞরা এখনও ভাইরাসটি কীভাবে শরীরে আক্রমণ করে তা জানার চেষ্টা করছেন, প্রতিদিন আরও নতুন লক্ষণ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ন্যাশনাল ডিজিজ (সিডিসি) করোনাভাইরাসের লক্ষণসমূহের তালিকায় তিনটি নতুন লক্ষণ যুক্ত করেছে।
বুকে চাপ ধরা ও নাক দিয়ে পানি পড়া
করোনাভাইরাসের সর্বাধিক পরিচিত লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো শুকনো কাশি হওয়া বা সর্দি লাগা। সর্বশেষ অনুসন্ধান অনুসারে, রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রামণের প্রারম্ভিক দিনগুলোতে লক্ষণ হিসাবে বুকে চাপ ধরা এবং নাক দিয়ে পানি পড়া লক্ষ করা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে, ভাইরাসটি নাক থেকে বিস্তার করেছে যা পরে নাকের ইনফেকশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজেকে লুকিয়ে রাখা বা ছদ্মবেশ ধারণ করা সম্ভবত করোনাভাইরাসের অন্যতম স্বভাব। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে, বমি বমি ভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো লক্ষণগুলো হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে জড়িত হতে পারে। যারা কেবল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা অনুভব করেন এবং প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান না, তাদের ক্ষেত্রে এটি আরও বাড়তে পারে। পেটে ব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস এবং স্বাদের অনুভূতি চলে যাওয়াও এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
ডায়েরিয়া
আরও একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইস্যুকে খারিজ করা উচিত নয়, তা হলো ডায়েরিয়া। জানা গেছে যে, অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগের মতো, করোনাভাইরাসও হজম সিস্টেমে আক্রমণ করতে পারে এবং একে ভারসাম্যহীন করে তুলতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলো সুস্থ হওয়ার গতি ধীর করে দেয়। আপনার যদি ডায়েরিয়ার লক্ষণ থাকে যেমন- পানিযুক্ত বা ঘন ঘন মল, পেট খারাপ হওয়া বা ৩-৪ দিনের জন্য পাকস্থলীতে সমস্যা বা করোনাভাইরাসের অন্যান্য পরিচিত উপসর্গগুলো দেখা দেয় তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন। এর জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।