ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থাকা দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৬৩টি নিবন্ধিত জেলে পরিবারের জন্য ২২ হাজার ৪৭৭.০৪ টন চাল বরাদ্দ করেছে সরকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
  • ২০৮ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেশের ২০টি জেলার ৯৬টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত থাকা দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৬৩টি নিবন্ধিত জেলে পরিবারের জন্য ২২ হাজার ৪৭৭.০৪ টন চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত মঞ্জুরি প্রদান করেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই পরিমাণ ভিজিএফ (দুস্থ গোষ্ঠীর খাদ্যসহায়তা) চাল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুকূলে মঞ্জুর করা হয় এবং তা ৩১ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ফেব্রুয়ারি-মার্চ এই দুই মাস চাল দেয়া হবে। রোববার (১৫ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো-ঢাকা জেলার দোহা;, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর; রাজবাড়ী জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ; শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট; মাদারীপুর জেলার সদর, কালকিনি ও শিবচর; ফরিদপুর জেলার সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন; মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টংগিবাড়ী ও গজারিয়া; ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও মনপুরা; পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দুমকি, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙাবাল; বরিশাল জেলার সদর, মুলাদী, হিজলা, বানারীপাড়া, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী; পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, নেছারাবাদ, কাউখালী ও নাজিরপুর; বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, বামনা, বেতাগী ও তালতলি; ঝালকাঠি জেলার সদর, রাজাপুর, নলছিটি ও কাঠালিয়া; চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ; লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর; ফেনী জেলার সোনাগাজী; নোয়াখালী জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ; চট্টগ্রাম জেলার সদর, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও মিরসরাই; বাগেরহাট জেলার সদর, মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট, মোংলা, কচুয়া, শরণখোলা ও রামপাল এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, কাজীপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া প্রতিবছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ভিজিএফ কর্মসূচি চালু করেছে সরকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

থাকা দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৬৩টি নিবন্ধিত জেলে পরিবারের জন্য ২২ হাজার ৪৭৭.০৪ টন চাল বরাদ্দ করেছে সরকার

আপডেট টাইম : ০৪:০৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেশের ২০টি জেলার ৯৬টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত থাকা দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৬৩টি নিবন্ধিত জেলে পরিবারের জন্য ২২ হাজার ৪৭৭.০৪ টন চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত মঞ্জুরি প্রদান করেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই পরিমাণ ভিজিএফ (দুস্থ গোষ্ঠীর খাদ্যসহায়তা) চাল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুকূলে মঞ্জুর করা হয় এবং তা ৩১ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ফেব্রুয়ারি-মার্চ এই দুই মাস চাল দেয়া হবে। রোববার (১৫ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো-ঢাকা জেলার দোহা;, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর; রাজবাড়ী জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ; শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট; মাদারীপুর জেলার সদর, কালকিনি ও শিবচর; ফরিদপুর জেলার সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন; মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টংগিবাড়ী ও গজারিয়া; ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও মনপুরা; পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দুমকি, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙাবাল; বরিশাল জেলার সদর, মুলাদী, হিজলা, বানারীপাড়া, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী; পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, নেছারাবাদ, কাউখালী ও নাজিরপুর; বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, বামনা, বেতাগী ও তালতলি; ঝালকাঠি জেলার সদর, রাজাপুর, নলছিটি ও কাঠালিয়া; চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ; লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর; ফেনী জেলার সোনাগাজী; নোয়াখালী জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ; চট্টগ্রাম জেলার সদর, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও মিরসরাই; বাগেরহাট জেলার সদর, মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট, মোংলা, কচুয়া, শরণখোলা ও রামপাল এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, কাজীপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া প্রতিবছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ভিজিএফ কর্মসূচি চালু করেছে সরকার।