মঙ্গলবার সকালে বসানো হবে পদ্মাসেতুর ২৬তম স্প্যান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পদ্মাসেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৪০টির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। আর দুইটি খুঁটির কাজ শেষ হলেই পদাসেতুর সবগুলো খুঁটি স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এরইমধ্যে বসানো হয়েছে ২৫টি স্প্যান। মঙ্গলবার সকালে বসানো হবে সেতুর ২৬তম স্প্যান।

সেতু ভবন সূত্র জানায়, ২৬তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে। এতে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে একসঙ্গে ১৪টি স্প্যান দেখা যাবে। ২৬তম স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর ৩ হাজার ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হবে।

শনিবার দিবাগত রাতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় শেষ হয় ১০ নম্বর পিলারের কাজ। এর মাধ্যমে মূল নদীর সব পিলারের কাজ শেষ হলো। সেতুর আর মাত্র দুটি খুঁটির শেষদিকের কাজ বাকি রয়েছে। এ দুটি পিলারের অবস্থান চরের বিআইডব্লিউটিএর ক্রসিং চ্যানেলে। যা আগামী মাসের মধ্যে তা শেষ হবে।

জানা গেছে, পদ্মাসেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়া প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে ১২টি এবং জাজিরা প্রান্তে ১৩টি স্প্যান বসে আছে। জাজিরা প্রান্তে ২৯ নম্বর থেকে ৪২ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত এই ১৩টি স্প্যান বসেছে। আর মাওয়া প্রান্তে ৫ থে‌কে ৭ নম্বর পর্যন্ত ২টি, ১৩ থে‌কে ১৯ নম্বর পর্যন্ত ৬টি এবং ২১ থে‌কে ২৫ পর্যন্ত ৪টিসহ ১২টি স্প্যান বসেছে।

পদ্মাসেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, এপ্রিলের মধ্যে পদ্মাসেতুর বাকি থাকা দুটি খুঁটি আর জুলাই মাসের মধ্যে সবগুলো স্প্যান বসিয়ে দেবেন তারা। এর মাধ্যমে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মাসেতু দৃশ্যমান হবে। তখন চলবে সেতুর ওপর সড়ক তৈরির কাজ।

এরইমধ্যে শরীয়তপুরের জাজিরা অংশ থেকে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার এর কাছাকাছি সড়ক নির্মিত হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে যান চলাচলের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দেয়া যাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর