হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ জেলায় নতুন বছরের দুই মাসেই ২৮ জন নারীর ধর্ষণজনিত কারণে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে দুই মাসের এই রেকর্ড উদ্বেগজনক বলে সচেতন মহল মনে করছেন। চরম আকারে নারী ধর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে এই জেলায়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ১৪ জন ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪ জন নারী ও শিশুকে ধর্ষণজনিত কারণে আদালতের নির্দেশে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়। জেলার বিভিন্ন থানা ও আদালতে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভিকটিমদের ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। এরমধ্যে কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও শৈলকুপায় ৬ জন করে মোট ১৮ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় দুই মাসে। এ ছাড়া হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৩ জন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৪ জন ও মহেশপুর উপজেলায় ৩ জন ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।
হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. কামরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার নারীরা ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আসেন। সবার পরীক্ষা যে পজেটিভ আসে তা কিন্তু না। অনেক সময় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দেয়া হয়। তিনি বলেন, অনেক সময় ছেলে মেয়ে প্রেম করে ঘর ছাড়া হয় সে কারণে অনেক মেয়ের পিতামাতারা ছেলেকে অযথা হয়রানির জন্য তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করে থাকেন। তিনি বলেন, সত্য মিথ্যা যায় হোক সঠিক পরীক্ষা করে আমরা রিপোর্ট যথাস্থানে পৌঁছে দিই। অনেক সময় মিথ্যা রিপোর্ট দেয়ার জন্য প্রবাশালী পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ধর্ষন মামলাটা একটু বেশিই দেখছি। তবে ধর্ষণ মামলার আসামি কাউকেই কাউকেই ছাড় নেই, সে যেই হোক তাকে আটক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যে সব ধর্ষণ মামলা হয়েছে সেই সব আসামিদের অধিকাংশই গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।