নির্ধারিত সময়ের আগেই মিয়ানমারকে ৩১ বছরের ‘পুরনো’ সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী মাসেই মিয়ানমারের কাছে একটি কিলো-ক্লাস সাবমেরিন ‘আইএনএস সিন্ধুবীর’ হস্তান্তর করতে যাচ্ছে ভারত। নির্ধারিত সময়ের আগেই সাবমেরিনটি সংস্কার ও সংযোজনের কাজ শেষ করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড লিমিটেড (এইচএসএল)। রোববার (২৩ ফেব্রæয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
রাশিয়ার তৈরি ভারতের এ সাবমেরিনটিই মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জন্য এ ধরনের প্রথম পানির নিচের অস্ত্র হতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে সাবমেরিনটি সংস্কার করার দায়িত্ব পায় এইচএসএল। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করে ভারতের নৌবাহিনীর কাছে সেটি হস্তান্তর করে তারা।
মিয়ানমারকে সামরিকভাবে উন্নত হতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাই মাসে এ সাবমেরিনটি তাদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে সিন্ধুবীরকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, রাশিয়ার তৈরি তিন হাজার টন ওজনের সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুবীর ৩১ বছরের পুরনো হলেও এটি নিয়মিত সংস্কার করা হয়েছে। বিশাখাপত্তমের হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ডে নিয়ে যুক্ত করা হয়েছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র। শুধু ভারত থেকেই নয়, মিয়ানমার রাশিয়া থেকেও আরেকটি সাবমেরিন সংগ্রহ করছে।
শুধু সাবমেরিন দেওয়াই নয়, ভাইজাগের সাবমেরিন স্কুলে মিয়ানমারের নাবিকদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে ভারত। এছাড়া গত কয়েক বছরে ইয়াংগুনে প্রশিক্ষকদের বেশ কয়েকটি ছোট টিমও পাঠিয়েছে তারা।
মিয়ানমারের সেনাদের ভারতে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাড়াও দেশ দু’টির মধ্যে এখন নিয়মিত যৌথ অনুশীলন, নৌমহড়া ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হচ্ছে। আগামী মার্চেই ভারত-মিয়ানমার সেনাদের যৌথ অনুশীলন হওয়ার কথা রয়েছে।
মিয়ানমারকে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তার খাতিরে সামুদ্রিক টহল জাহাজ, গানবোট, মর্টার, গ্রেনেড লঞ্চার, বন্দুক প্রভৃতি সরবরাহ করেছে ভারত। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামও পাচ্ছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রিগেট ও করভেটের জন্য বিশেষ ধরনের রাডার।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর