ঢাকা সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হলেও জামিন না পাওয়ায় মাঠে নামতে পারেননি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস।এখনো গ্রেপ্তার আতঙ্ক তাকে তাড়া করে ফিরছে।আগামীকাল রবিবার মির্জা আব্বাসের প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার দুই মামলায় জামিন নেয়ার জন্য আগামীকাল তাঁর আদালতে হাজির হওয়ার কথা।
ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, মির্জা আব্বাস মূলত জামিনের অপেক্ষায় রয়েছেন। জামিন নিয়েই তিনি প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন।গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থেকেই দিন পার করছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির এই আহ্বায়ক।
আবাসনের জন্য প্লট ইজারা দেওয়া সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে দুদকের মামলা ও অবরোধে পল্টন ও মতিঝিল থাকার নাশকতার মামলায় আদালতে আগাম জামিন আবেদন করেন মির্জা আব্বাস। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আব্বাসের আইনজীবীরা জামিন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
আগামীকাল রবিবার পল্টন ও মতিঝিল থানার মামলার আগাম জামিনের শুনানি হওয়ার কথা আছে। সেক্ষেত্রে শুনানিকালে আব্বাসকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে।
তাই আগামীকাল মির্জা আব্বাসের প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বলেন, “আগামী কাল বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে পল্টন ও মতিঝিল থানার মামলার আগাম জামিনের শুনানি হওয়ার দিন ধার্য আছে। আর শুনানি হলে তাকে (আব্বাস) অবশ্যই আদালতে হাজির হতে হবে।”
মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ একজন বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তেবলেন,“আব্বাস ভাই জামিনের অপেক্ষায় আছেন।তিনি এখন নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। এক রকমের আত্মগোপনে আছেন এটা বলতে পারেন।”
সিটি নির্বাচনের ঠিক আগে জামিনের জন্য আদালতে যান মির্জা আব্বাস।জামিন না হওয়ায় তিনি আদালত থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এর পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মিডিয়া(ভারপ্রাপ্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার আদালতের নির্দেশ থাকলে তা বাস্তবায়নে কাজ করি।কাল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি দেখি উনি কোর্টে যান কিনা।”