ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারাই পাবেন’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাবার জন্য দোয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া আমার সোনার বাংলা’ যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে যা ঘটলো, তাতে হতাশ হয়েছি: আসিফ মাহমুদ আমি কখনই ক্রিকেট খেলা শিখিনি, এখন চেষ্টা করছি: তিশা মাদক-অপকর্মের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগেভাগেই ঢাকায় আসবেন হামজা উপদেষ্টা মাহফুজকে লাঞ্ছিত করায় হাসনাতের ক্ষোভ জনদাবির মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দেওয়ার আচরণ সন্দেহজনক

স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে চীন থেকে আসছে ১৩৮ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ২০ বার

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত চীনের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. নূরজাহান বেগম।

তিনি জানান, এই খাতের উন্নয়নে চীন ১৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

অধ্যাপক নূরজাহান বেগম বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারির সময় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা চীন থেকেই আমদানি করেছে। শুধু তাই নয়, ঢাকার ধামরাইয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে চীন সম্মতি দিয়েছে। পাশাপাশি ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ নিয়েও চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও জানান, চিকিৎসাসেবায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাস্থ্য পর্যটন (medical tourism) চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নাগরিকরা সহজেই উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য চীন ভ্রমণ করতে পারবেন। চীনা রাষ্ট্রদূতের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর এ দিক থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশের জন্য বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশও বিশাল জনসংখ্যার কারণে বিদেশি চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ ও প্রযুক্তির জন্য একটি লাভজনক বাজার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এ উপলক্ষে শিক্ষা, চিকিৎসা ও অবকাঠামোসহ নানা খাতে যৌথ সহযোগিতার নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারাই পাবেন’

স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে চীন থেকে আসছে ১৩৮ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা

আপডেট টাইম : ০৭:৪০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত চীনের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. নূরজাহান বেগম।

তিনি জানান, এই খাতের উন্নয়নে চীন ১৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

অধ্যাপক নূরজাহান বেগম বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারির সময় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা চীন থেকেই আমদানি করেছে। শুধু তাই নয়, ঢাকার ধামরাইয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে চীন সম্মতি দিয়েছে। পাশাপাশি ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ নিয়েও চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও জানান, চিকিৎসাসেবায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাস্থ্য পর্যটন (medical tourism) চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নাগরিকরা সহজেই উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য চীন ভ্রমণ করতে পারবেন। চীনা রাষ্ট্রদূতের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর এ দিক থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশের জন্য বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশও বিশাল জনসংখ্যার কারণে বিদেশি চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ ও প্রযুক্তির জন্য একটি লাভজনক বাজার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এ উপলক্ষে শিক্ষা, চিকিৎসা ও অবকাঠামোসহ নানা খাতে যৌথ সহযোগিতার নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।