ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধূমপানজনিত অসংক্রামক রোগ মৃত্যুর বড় কারণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধূমপান বা তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগ বা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১  হাজার মানুষ মারা যায়। অসংক্রামক রোগ ধূমপায়ী বা তামাক ব্যবহারকারীদের মৃত্যুর কারণ বা সারা জীবনের সঙ্গী হয়, যা পরিবারকে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করে এবং দেশের অর্থনীতিকে টেকসই উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে। গতকাল হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা-ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এক সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তারগণ এই মত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্‌্‌ (বিসিসিপি), বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ নেটওয়ার্ক (বিটিসিআরএন) এবং জনস্‌্‌ হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ্‌্‌ (জেএইচএসপিএইচ)-এর ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল টোব্যাকো কন্ট্রোল, বাল্টিমোর, ইউএসএ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ নেটওয়ার্ক (বিটিসআরএন) এর উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার অব.) আব্দুল মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থাপিত ৫টি বিষয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-গবেষক। এছাড়া আরো ৪টি গবেষণা সম্পন্ন করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার অভিজ্ঞ গবেষকগণ।
মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ তামাক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা সন্তোষজনক অবস্থায় কমিয়ে আনার ব্যর্থতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি সকল স্বাস্থ্যকর্মী এবং গবেষকদের ধূমপায়ী এবং তামাকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. আবদুল মালেক বলেন, তামাক ইন্ডাস্ট্রিগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা তামাক বা তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কৌশলপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। এ ব্যাপারে তিনি তামাক বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে পিতামাতাদেরকে আরো সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে তাদের সন্তান তামাক থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের টিম লিডার (আইভিডি) ড. রাজেন্দ্র বোহরা, ড. জয়েনা কোহেন প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. জিনাত সুলতানা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ধূমপানজনিত অসংক্রামক রোগ মৃত্যুর বড় কারণ

আপডেট টাইম : ০৩:১০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধূমপান বা তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগ বা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১  হাজার মানুষ মারা যায়। অসংক্রামক রোগ ধূমপায়ী বা তামাক ব্যবহারকারীদের মৃত্যুর কারণ বা সারা জীবনের সঙ্গী হয়, যা পরিবারকে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন করে এবং দেশের অর্থনীতিকে টেকসই উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে। গতকাল হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা-ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এক সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তারগণ এই মত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্‌্‌ (বিসিসিপি), বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ নেটওয়ার্ক (বিটিসিআরএন) এবং জনস্‌্‌ হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ্‌্‌ (জেএইচএসপিএইচ)-এর ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল টোব্যাকো কন্ট্রোল, বাল্টিমোর, ইউএসএ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ নেটওয়ার্ক (বিটিসআরএন) এর উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার অব.) আব্দুল মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থাপিত ৫টি বিষয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-গবেষক। এছাড়া আরো ৪টি গবেষণা সম্পন্ন করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার অভিজ্ঞ গবেষকগণ।
মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ তামাক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা সন্তোষজনক অবস্থায় কমিয়ে আনার ব্যর্থতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি সকল স্বাস্থ্যকর্মী এবং গবেষকদের ধূমপায়ী এবং তামাকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. আবদুল মালেক বলেন, তামাক ইন্ডাস্ট্রিগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা তামাক বা তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কৌশলপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। এ ব্যাপারে তিনি তামাক বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে পিতামাতাদেরকে আরো সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে তাদের সন্তান তামাক থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের টিম লিডার (আইভিডি) ড. রাজেন্দ্র বোহরা, ড. জয়েনা কোহেন প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. জিনাত সুলতানা।