ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

পরিমলের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৩৪ বার

ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের বসুন্ধরা শাখার ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক পরিমল জয়ধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর ২টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি গত ১০ নভেম্বর রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার পরিমল জয়ধর ২০১০ সালে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। স্কুলটির বসুন্ধরা দিবা শাখার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১১ সালের ৫ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এতে পরিমল জয়ধর, স্কুলটির তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফুর রহমানকে আসামি করা হয়।

২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অধ্যক্ষ ও লুৎফরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করেন পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও চিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন মেয়েটিকে আবারও ধর্ষণ করা হয়।

বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।

এ ঘটনায় ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর এক দিন পর পরিমলকে কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন পরিমল।

মামলার শুনানিতে বিচারকের কাছে ওই ছাত্রী পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। ছাত্রীটির মাও সাক্ষ্য দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

পরিমলের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের বসুন্ধরা শাখার ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক পরিমল জয়ধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর ২টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি গত ১০ নভেম্বর রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার পরিমল জয়ধর ২০১০ সালে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। স্কুলটির বসুন্ধরা দিবা শাখার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১১ সালের ৫ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এতে পরিমল জয়ধর, স্কুলটির তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফুর রহমানকে আসামি করা হয়।

২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অধ্যক্ষ ও লুৎফরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করেন পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। এরপর ওই ভিডিও চিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন মেয়েটিকে আবারও ধর্ষণ করা হয়।

বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পরিমলকে বরখাস্ত করে।

এ ঘটনায় ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর এক দিন পর পরিমলকে কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন পরিমল।

মামলার শুনানিতে বিচারকের কাছে ওই ছাত্রী পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। ছাত্রীটির মাও সাক্ষ্য দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।