ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাশরাফি ৫ মাস পর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৫ জুলাই থেকে ১২ ডিসেম্বর। মাঝে পেরিয়ে গেছে ১৫৯ দিন। দেশের ক্রিকেটে ঘটেছে বড় বড় ঘটনা। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ছিলেন অনেকটা আড়ালে। লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাঠের ক্রিকেটে ওই শেষবার দেখা গিয়েছিল দেশসেরা এই অধিনায়ককে। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারেননি চোটের কারণে। এরপর আর ওয়ানডে ছিল না বাংলাদেশের। ক্রিকেট থেকেও অনেকটাই দূরে সরে মাশরাফি ব্যস্ত ছিলেন রাজনীতির মাঠে। বিশ্বকাপের পারফম্যান্স, অবসর নিয়ে বিতর্কের জেরে নিজেকে গুটিয়েও রেখেছিলেন এই সময়ে।

বিশ্বকাপ থেকে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ। মাঝের প্রায় পুরো সময়টায় চোটের সাথে চলেছে লড়াই। তবে আরও একবার সেই লড়াই জিতে মাঠে ফিরলেন মাশরাফি। গতকাল রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে টস করেন মাশরাফি। এই ম্যাচ দিয়ে ৫ মাসেরও বেশি সময় পর ক্রিকেটে ফিরলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।

গত বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সফরে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন মাশরাফি। সেই চোট তাকে ভুগিয়েছে পুরো বিশ্বকাপ। বোলিংয়েও পড়েছে তার প্রতিফলন। ছন্দে ছিলেন না টুর্নামেন্ট জুড়েই। বিশ্বকাপের পর নতুন করে আবারও চোট পান হ্যামস্ট্রিংয়ে। ছিটকে যান শ্রীলঙ্কা সফর থেকে। এরপর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিশ্রামে ছিলেন দীর্ঘদিন। সেই সময়টায় ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯৪ কেজি।

এরপর লাগাম টেনেছেন খাদ্যাভাসে। ডায়েট করে কমিয়েছেন ওজন। হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যথা কাটিয়ে ফিরেছেন জিমে। বিপিএলকে সামনে রেখে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু করেন ফিটনেস ট্রেনিং। বোলিং শুরু করার পর অবশ্য আবারও ব্যথা পান কোমরে। সেই ব্যথা পুরোপুরি সেরে ওঠেনি এখনও। তবে সেটিকে সঙ্গী করেই আবার ফিরলেন মাঠে। বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক বিপিএল দিয়েই করলেন নতুন শুরু।

ফেরার ম্যাচে অনুভুতি সুখকর হয়নি মাশরাফির। তবে দল হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে খুব একটা মন্দ করেননি ঢাকা দলপতি। আগে ব্যাটিং পেয়ে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি ঢাকা। ১৩৪ রানে থামা ইনিংসটি সমৃদ্ধ হয়েছে শেষ দিকে দুই ছক্কায় অপরাজিত ১৮ করা মাশরাফির অবদানে।

মূল যে কাজ সেই বোলিংয়েও মাশরাফিকে দেখা গেছে আগের মতই বুদ্ধিদ্বীপ্ত। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে এই অল্প রান আটকাতে প্রথম ওভারেই বল হাতে নেন বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। পাঁচ মাস কোন রকমের ক্রিকেট না খেলা, অনুশীলনেও অনুপস্থিত থাকার প্রভাব খুব একটা পড়েনি তার বলে। আঁটসাঁট বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও ছিলেন মিতব্যয়ী।

প্রথম ওভারে জায়গায় বল করে দেন মাত্র ৪ রান। প্রথম স্পেলে ছিল ওই এক ওভারই। চতুর্থ ওভারে আবার ফিরে এক বাউন্ডারি খেয়ে দেন ৬ রান। আবারও এক ওভারের স্পেল শেষ করে মাশরাফি ফেরেন দ্বাদশ ওভারে। আবার তার বল থেকে এক চারে ৮ রান তুলে নেন শোয়েব মালিক আর হজরতুল্লাহ জাজাই। রাজশাহীর অনায়াসে জেতার পরিস্থিতি তৈরি হলে নিজের শেষ ওভারটি আর করতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাশরাফি ৫ মাস পর

আপডেট টাইম : ০৭:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৫ জুলাই থেকে ১২ ডিসেম্বর। মাঝে পেরিয়ে গেছে ১৫৯ দিন। দেশের ক্রিকেটে ঘটেছে বড় বড় ঘটনা। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ছিলেন অনেকটা আড়ালে। লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাঠের ক্রিকেটে ওই শেষবার দেখা গিয়েছিল দেশসেরা এই অধিনায়ককে। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারেননি চোটের কারণে। এরপর আর ওয়ানডে ছিল না বাংলাদেশের। ক্রিকেট থেকেও অনেকটাই দূরে সরে মাশরাফি ব্যস্ত ছিলেন রাজনীতির মাঠে। বিশ্বকাপের পারফম্যান্স, অবসর নিয়ে বিতর্কের জেরে নিজেকে গুটিয়েও রেখেছিলেন এই সময়ে।

বিশ্বকাপ থেকে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ। মাঝের প্রায় পুরো সময়টায় চোটের সাথে চলেছে লড়াই। তবে আরও একবার সেই লড়াই জিতে মাঠে ফিরলেন মাশরাফি। গতকাল রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে টস করেন মাশরাফি। এই ম্যাচ দিয়ে ৫ মাসেরও বেশি সময় পর ক্রিকেটে ফিরলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।

গত বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সফরে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন মাশরাফি। সেই চোট তাকে ভুগিয়েছে পুরো বিশ্বকাপ। বোলিংয়েও পড়েছে তার প্রতিফলন। ছন্দে ছিলেন না টুর্নামেন্ট জুড়েই। বিশ্বকাপের পর নতুন করে আবারও চোট পান হ্যামস্ট্রিংয়ে। ছিটকে যান শ্রীলঙ্কা সফর থেকে। এরপর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিশ্রামে ছিলেন দীর্ঘদিন। সেই সময়টায় ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯৪ কেজি।

এরপর লাগাম টেনেছেন খাদ্যাভাসে। ডায়েট করে কমিয়েছেন ওজন। হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যথা কাটিয়ে ফিরেছেন জিমে। বিপিএলকে সামনে রেখে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু করেন ফিটনেস ট্রেনিং। বোলিং শুরু করার পর অবশ্য আবারও ব্যথা পান কোমরে। সেই ব্যথা পুরোপুরি সেরে ওঠেনি এখনও। তবে সেটিকে সঙ্গী করেই আবার ফিরলেন মাঠে। বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক বিপিএল দিয়েই করলেন নতুন শুরু।

ফেরার ম্যাচে অনুভুতি সুখকর হয়নি মাশরাফির। তবে দল হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে খুব একটা মন্দ করেননি ঢাকা দলপতি। আগে ব্যাটিং পেয়ে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি ঢাকা। ১৩৪ রানে থামা ইনিংসটি সমৃদ্ধ হয়েছে শেষ দিকে দুই ছক্কায় অপরাজিত ১৮ করা মাশরাফির অবদানে।

মূল যে কাজ সেই বোলিংয়েও মাশরাফিকে দেখা গেছে আগের মতই বুদ্ধিদ্বীপ্ত। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে এই অল্প রান আটকাতে প্রথম ওভারেই বল হাতে নেন বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। পাঁচ মাস কোন রকমের ক্রিকেট না খেলা, অনুশীলনেও অনুপস্থিত থাকার প্রভাব খুব একটা পড়েনি তার বলে। আঁটসাঁট বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও ছিলেন মিতব্যয়ী।

প্রথম ওভারে জায়গায় বল করে দেন মাত্র ৪ রান। প্রথম স্পেলে ছিল ওই এক ওভারই। চতুর্থ ওভারে আবার ফিরে এক বাউন্ডারি খেয়ে দেন ৬ রান। আবারও এক ওভারের স্পেল শেষ করে মাশরাফি ফেরেন দ্বাদশ ওভারে। আবার তার বল থেকে এক চারে ৮ রান তুলে নেন শোয়েব মালিক আর হজরতুল্লাহ জাজাই। রাজশাহীর অনায়াসে জেতার পরিস্থিতি তৈরি হলে নিজের শেষ ওভারটি আর করতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক।