হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে সম্মেলনে বসছে। এই সম্মেলন থেকেই আগামী তিন বছরের জন্য নগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাবেন নব নির্বাচিতরা।
আগামী বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনকে সামনে রেখে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দুটি ইউনিট ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে দলটির নীতি নির্ধারকরা। সেজন্য নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ ভাবমুর্তি আর পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব খুঁজছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে ঢাকা দুই মহানগরের নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারাও।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে উত্তর-দক্ষিন দুটি ইউনিটে ভাগ করার আগে সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে যায় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া। এর তিন বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল একেএম রহমতুল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর উত্তর এবং আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর দক্ষিণ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রভাবে এবার গতানুগতিক সম্মেলনের বাইরে এসে এমন নেতৃত্ব আনতে চাইছে আওয়ামী লীগ, যেখানে মুল বিবেচ্য থাকছে নেতা কতোটা কর্মী বান্ধব, সাংগঠনিক, স্বচ্ছ ইমেজের, ত্যাগী।
আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে চলমান এই শুদ্ধি অভিযানের বড় প্রভাব দেখা গেছে। কমিটিতে স্থান পেয়েছেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারকরা। সেই সূত্রে এবার মহানগরেও ত্যাগী, পরীক্ষিত, ক্লিন ইমেজের নেতারা পদ পাবেন বলে আশাবাদী হয়ে উঠছেন। মহানগরের পদ পাওয়ার জন্য প্রভাবশালী অথচ বিতর্কিত এমন নেতারা ছিটকে পড়েছেন নেতৃত্বের রেস থেকে।
দলীয় সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন এতে দীর্ঘদিন কোণঠাসা ও বঞ্চনার শিকার নেতারা এবার আশার আলো দেখছেন।
মহানগর নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা কাউন্সিলের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির একটি চ্যালেঞ্জিং কমিটি উপহার দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সম্পর্ক জানতে চাইলে সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সবগুলো কমিটিতেই নবীন প্রবীণের সমন্নয় থাকে, এই দুই ইউনিটের নেতৃত্বেও নবীন প্রবীণের সমন্নয় থাকবে।’
“দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, ইমেজ নষ্ট, এমন কেউ নেতৃত্বে আসতে পারবে না। যারা নেতৃত্বে আসবে, তাদের অবশ্যই তিনটি ক্রাইটেরিইয়া থাকতে হবে। এর মধ্যে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তার দলের সাথে সম্পৃক্ততা, কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ও দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা থাকতে হবে। কোন অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে সব ক্রাইটেরিয়া থাকলেও বাদ পড়বেন।’
মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান রাইজিংবিডিকে জানান, ‘উত্তরে প্রায় এক হাজার কাউন্সিলর। থাকবে্ন’। দক্ষিনের দপ্তর থেকে খবর নিয়ে জানা যায়, ‘দক্ষিনেও প্রায় এক হাজার কাউন্সিলর থাকবেন।’