ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেরা গুহা খ্যাত ‘জবালে নূরের অজানা ৬ আকর্ষণীয় তথ্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ২২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আল্লাহ তাআলার নাজিল করা পবিত্র কুরআনের প্রথম আলোয় আলোকিত যে পাহাড় তাই জাবালে নূর। যে পাহাড়ের গুহায় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহি লাভে ধ্যানমগ্ন থাকতেন। বিশ্বব্যাপী যে পাহাড়কে গারে হেরা বা হেরা গুহা নামেই মানুষ সবচেয়ে চেনে বা জানে। জাবালে নূর কিংবা গারে হেরা তথা হেরা গুহা সম্পর্কে জানতে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। জাবালে নূরে যে গুহায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধ্যানমগ্ন থাকতেন। সেখানে ওঠা একদমই সহজ ছিল না তখন। ছিল না উপরে ওঠার কোনো সহজ পথ। বর্তমানে যেখানে ওঠতে শক্তিশালী ও সামর্থবান মানুষদের প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। প্রায় ১০০০ ফুট উচ্চতার ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠতে বেশ কয়েকবার বিশ্রাম নিতে হয়। সমতল ভূমি থেকে পাহাড়ের ওপরের দিকে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ফুট পথ গাড়িতে যাওয়া যায়। সেখান থেকে ৮৯০ ফুট উচ্চতায় হেরা গুহা অবস্থিত। হেরা গুহায় যেতে আরও প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। কেননাপাহাড়ের চড়ূা থেকে বিপরীত দিকে একটু নিচে অবস্থিত হেরা গুহায় যাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। হেরা গুহাটি পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ায় না হলেও সেখানে যেতে হলে পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠতে হয়। সেখানে ওঠা ছাড়া হেরা গুহায় যাওয়ার কোনো বিকল্প পথ নেই। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে গুহায় ধ্যান করেছিলেন, সেটি আকারে অনেক ছোট। যেখানে একজন সুঠামদেহী মানুষ ঠিকভাবে নড়াচড়া করতেই কষ্টকর হয়ে যায়। জাবালে নূর খ্যাত হেরা পাহাড়ের রয়েছে আকর্ষণীয় ৬টি তথ্য। আর তা হলো:-

জাবালে নূর
পবিত্র কাবা শরিফ থেকে ২ মাইল দূরে অবস্থিত একটি পাহাড় হেরা। পাহাড়ের নাম হেরা হলেও এটি এখন বিশ্বব্যাপী জাবালে নূর বা জাবালে হিরা নামেই বেশি চেনে। জাবালে নূর অর্থ হলো নূর বা আলোর পাহাড়।
কেননা এ পাহাড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর সর্বপ্রথম বরকতময় আলোকিত কুরআন নাজিল হয়। যা শুধু মুসলিম উম্মাহ নয় বরং বিশ্ব মানবতার জন্য নূর বা আলো। সে কারণেই এ পাহাড় বিশ্বব্যাপী জাবালে নূর নামেই পরিচিত।

 গুহার অবস্থান ও পরিধি
হেরা গুহা এত ছোট ও এর মধ্যকার জায়গা এত কম যে, প্রথম দেখাতেই বিস্ময়কর মনে হবে। এ স্থানেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধ্যনমগ্নে নিয়োজিত ছিলেন। যার লম্বায় ৪ মিটার আর পাশে ১.৫ তথা দেড় মিটার। উচ্চতায় ভালোভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানোও কষ্টকর। যদিও সমতল থেকে পুরো পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় হাজার ফুট।

 প্রথম কুরআন নাজিল
এ পাহাড়ের প্রায় চূড়া সংলগ্ন হেরা গুহায় ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিল করেন। যদিও এরআগে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সত্য স্বপ্ন দেখতেন যা ওহির সমতুল্য।

 জিবরিল আলাইহিস সালামের প্রথম সাক্ষাৎ
এ পাহাড়ের হেরা গুহায় ধন্যমগ্ন থাকা অবস্থায় সর্ব প্রথম হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম কুরআনের ওহি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন-
‘এক রাতে তাহাজ্জুদের সময় মানুষের আকৃতিতে একজন ফেরেশতা প্রিয়নবির কাছে আসেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন, পড়ুন। উত্তরে রাসুল বলেছেন, আমি পড়তে জানি না। তারপরও ফেরশতা তাকে আরও দুইবার পড়ার অনুরোধ করেন, সে দুইবারও প্রিয় নবি জানালেন আমি পড়তে জানি না।
শেষ পর্যন্ত ফেরেশতা হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম কুরআনের ৯৬নং সুরার প্রথম ৫ আয়াত পড়
লেন। এ ছিল প্রিয় নবির প্রতি হেরা গুহায় প্রথম ওহি। তিনি শুরু করেছিলেন-
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
>> পড়ুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।
>> সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।
>> পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।
>> যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।
>> শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।

 নবুয়তের সূচনা: জাবালে নূর খ্যাত এই সেই ঐতিহাসিক গুহা। যেখান থেকে এ ওহি লাভের মাধ্যমেই প্রথম শুরু হয়েছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তি দায়িত্ব পালনের কঠিন জীবনের শুভ সূচনা। কেননা তিনি যখন ওহি নিয়ে হেরা গুহা থেকে পাহাড়ের অর্ধেক নিচে নেমে আসলেন, তখন তাঁর কানে একটি কণ্ঠের আওয়াজ আসে- ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর নবি আর আমি জিবরিল।’ তিনি পৃথিবীতে নবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনে হলেন আল্লাহ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি ও রাসুল।

 হেরা পাহাড়ের সেই কঠিন রাত: হেরা গুহায় যে দিন প্রথম জিবরিল আলাইহিস সালাম ওহি নিয়ে আসলেন, সে রাতটি ছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য কঠিন রাত। সে রাতে হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম বিদায় গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত প্রিয় নবি যে দিকেই তাকাতেন দেখতেন হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম সব দিক থেকেই সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর এতে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নেমে আসার সময়ই তাঁর নবুয়তি পরিচয়সহ জিবরিল নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তারপর প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেরা গুহা থেকে নিজ ঘরে ফিরে আসলেন এবং হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন, আমাকে কম্বল দ্বারা আবৃত করে দাও, জড়িয়ে ধরো। হেরা গুহা থেকে কুরআনের প্রথম ওহি নাজিল হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২২ বছর ৫ মাস ১৪দিন সময়ে মানব জাতির জন্য সংবিধান হিসেবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহি নাজিলের মাধ্যমে পুরো কুরআনুল কারিম অবর্তীণ করেন। যার শুভ সূচনা হয়েছিল জাবালে নূর থেকেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হেরা গুহা খ্যাত ‘জবালে নূরের অজানা ৬ আকর্ষণীয় তথ্য

আপডেট টাইম : ১০:১৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আল্লাহ তাআলার নাজিল করা পবিত্র কুরআনের প্রথম আলোয় আলোকিত যে পাহাড় তাই জাবালে নূর। যে পাহাড়ের গুহায় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহি লাভে ধ্যানমগ্ন থাকতেন। বিশ্বব্যাপী যে পাহাড়কে গারে হেরা বা হেরা গুহা নামেই মানুষ সবচেয়ে চেনে বা জানে। জাবালে নূর কিংবা গারে হেরা তথা হেরা গুহা সম্পর্কে জানতে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। জাবালে নূরে যে গুহায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধ্যানমগ্ন থাকতেন। সেখানে ওঠা একদমই সহজ ছিল না তখন। ছিল না উপরে ওঠার কোনো সহজ পথ। বর্তমানে যেখানে ওঠতে শক্তিশালী ও সামর্থবান মানুষদের প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। প্রায় ১০০০ ফুট উচ্চতার ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠতে বেশ কয়েকবার বিশ্রাম নিতে হয়। সমতল ভূমি থেকে পাহাড়ের ওপরের দিকে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ফুট পথ গাড়িতে যাওয়া যায়। সেখান থেকে ৮৯০ ফুট উচ্চতায় হেরা গুহা অবস্থিত। হেরা গুহায় যেতে আরও প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। কেননাপাহাড়ের চড়ূা থেকে বিপরীত দিকে একটু নিচে অবস্থিত হেরা গুহায় যাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। হেরা গুহাটি পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ায় না হলেও সেখানে যেতে হলে পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠতে হয়। সেখানে ওঠা ছাড়া হেরা গুহায় যাওয়ার কোনো বিকল্প পথ নেই। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে গুহায় ধ্যান করেছিলেন, সেটি আকারে অনেক ছোট। যেখানে একজন সুঠামদেহী মানুষ ঠিকভাবে নড়াচড়া করতেই কষ্টকর হয়ে যায়। জাবালে নূর খ্যাত হেরা পাহাড়ের রয়েছে আকর্ষণীয় ৬টি তথ্য। আর তা হলো:-

জাবালে নূর
পবিত্র কাবা শরিফ থেকে ২ মাইল দূরে অবস্থিত একটি পাহাড় হেরা। পাহাড়ের নাম হেরা হলেও এটি এখন বিশ্বব্যাপী জাবালে নূর বা জাবালে হিরা নামেই বেশি চেনে। জাবালে নূর অর্থ হলো নূর বা আলোর পাহাড়।
কেননা এ পাহাড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর সর্বপ্রথম বরকতময় আলোকিত কুরআন নাজিল হয়। যা শুধু মুসলিম উম্মাহ নয় বরং বিশ্ব মানবতার জন্য নূর বা আলো। সে কারণেই এ পাহাড় বিশ্বব্যাপী জাবালে নূর নামেই পরিচিত।

 গুহার অবস্থান ও পরিধি
হেরা গুহা এত ছোট ও এর মধ্যকার জায়গা এত কম যে, প্রথম দেখাতেই বিস্ময়কর মনে হবে। এ স্থানেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধ্যনমগ্নে নিয়োজিত ছিলেন। যার লম্বায় ৪ মিটার আর পাশে ১.৫ তথা দেড় মিটার। উচ্চতায় ভালোভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানোও কষ্টকর। যদিও সমতল থেকে পুরো পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় হাজার ফুট।

 প্রথম কুরআন নাজিল
এ পাহাড়ের প্রায় চূড়া সংলগ্ন হেরা গুহায় ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিল করেন। যদিও এরআগে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সত্য স্বপ্ন দেখতেন যা ওহির সমতুল্য।

 জিবরিল আলাইহিস সালামের প্রথম সাক্ষাৎ
এ পাহাড়ের হেরা গুহায় ধন্যমগ্ন থাকা অবস্থায় সর্ব প্রথম হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম কুরআনের ওহি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন-
‘এক রাতে তাহাজ্জুদের সময় মানুষের আকৃতিতে একজন ফেরেশতা প্রিয়নবির কাছে আসেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন, পড়ুন। উত্তরে রাসুল বলেছেন, আমি পড়তে জানি না। তারপরও ফেরশতা তাকে আরও দুইবার পড়ার অনুরোধ করেন, সে দুইবারও প্রিয় নবি জানালেন আমি পড়তে জানি না।
শেষ পর্যন্ত ফেরেশতা হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম কুরআনের ৯৬নং সুরার প্রথম ৫ আয়াত পড়
লেন। এ ছিল প্রিয় নবির প্রতি হেরা গুহায় প্রথম ওহি। তিনি শুরু করেছিলেন-
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
>> পড়ুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।
>> সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।
>> পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।
>> যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।
>> শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।

 নবুয়তের সূচনা: জাবালে নূর খ্যাত এই সেই ঐতিহাসিক গুহা। যেখান থেকে এ ওহি লাভের মাধ্যমেই প্রথম শুরু হয়েছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তি দায়িত্ব পালনের কঠিন জীবনের শুভ সূচনা। কেননা তিনি যখন ওহি নিয়ে হেরা গুহা থেকে পাহাড়ের অর্ধেক নিচে নেমে আসলেন, তখন তাঁর কানে একটি কণ্ঠের আওয়াজ আসে- ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর নবি আর আমি জিবরিল।’ তিনি পৃথিবীতে নবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনে হলেন আল্লাহ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি ও রাসুল।

 হেরা পাহাড়ের সেই কঠিন রাত: হেরা গুহায় যে দিন প্রথম জিবরিল আলাইহিস সালাম ওহি নিয়ে আসলেন, সে রাতটি ছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য কঠিন রাত। সে রাতে হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম বিদায় গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত প্রিয় নবি যে দিকেই তাকাতেন দেখতেন হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম সব দিক থেকেই সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর এতে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নেমে আসার সময়ই তাঁর নবুয়তি পরিচয়সহ জিবরিল নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তারপর প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেরা গুহা থেকে নিজ ঘরে ফিরে আসলেন এবং হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন, আমাকে কম্বল দ্বারা আবৃত করে দাও, জড়িয়ে ধরো। হেরা গুহা থেকে কুরআনের প্রথম ওহি নাজিল হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২২ বছর ৫ মাস ১৪দিন সময়ে মানব জাতির জন্য সংবিধান হিসেবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ওহি নাজিলের মাধ্যমে পুরো কুরআনুল কারিম অবর্তীণ করেন। যার শুভ সূচনা হয়েছিল জাবালে নূর থেকেই।