ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোর আ’লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার বেলা ২টার দিকে শহরের ঈদগাহ ময়দানে সম্মেলনে উপস্থিত হন তিনি।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মানিত অতিথি হিসেবে রয়েছেন- সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-হানিফ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, বিশেষ বক্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সদস্য এসএম কামাল হোসেন ও পারভীন জামান কল্পনা।

সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে ইলেকশন নাকি সিলেকশনে হবে, সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ইলেকশন হলে কাউন্সিলরদের কদর বাড়বে। আর সিলেকশন হলে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার গ্রুপ ও এমপি কাজী নাবিল গ্রুপ তাদের আধিপত্যের প্রশ্নে প্লাস-মাইনাসের নানা কৌশল নিয়েছে। দুগ্রুপই কৌশল হিসেবে একই পদে একাধিক ডামি প্রার্থীও মাঠে নামিয়েছেন। যাতে সিলেকশনের ক্ষেত্রে দরকষাকষির সুযোগটি থাকে। আর ইলেকশন হলে কাউন্সিরদের মতমতই চূড়ান্ত। সম্মেলন ঘিরে গোটা শহরে সাজসাজ বর। চাঙ্গা হয়েছে দলের নেতাকর্মীরাও।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে ইলেকশন নাকি সিলেকশন হবে, সেটি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করবেন। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সম্মেলন সফল করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের ৮৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রায় সাড়ে তিন বছরে দ্বিধাবিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ কর্মসূচি শাহীন চাকলাদার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে আলাদাভাবে পালিত হয়েছে। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর যশোর ও সদর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শাহীন চাকলাদার অনুসারীদের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ৪৫৫ কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির ৬৮ জন, যশোর সদর উপজেলার ৬৪, শহর আওয়ামী লীগের ৪২, মণিরামপুর উপজেলার ৪৩, চৌগাছা উপজেলার ৩০, শার্শার ৩৫, বাঘারপাড়ার ২৭, অভয়নগরের ২৬, ঝিকরগাছার ৪১ জন ও কেশবপুরের ৩৪ জন।

কো-অপ্ট করা হয়েছে ৪৫ জনকে। তবে শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে ইলেকশন নাকি সিলেকশন হবে, সেটি নিশ্চিত নয়।

সম্মেলন ঘিরে শহরে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকছে। এর মধ্যে টহল পুলিশ, অনুষ্ঠানস্থলে স্ক্যানার থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় তল্লাশি করা হয়। এ ছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যশোর আ’লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের

আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার বেলা ২টার দিকে শহরের ঈদগাহ ময়দানে সম্মেলনে উপস্থিত হন তিনি।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মানিত অতিথি হিসেবে রয়েছেন- সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-হানিফ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, বিশেষ বক্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সদস্য এসএম কামাল হোসেন ও পারভীন জামান কল্পনা।

সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে ইলেকশন নাকি সিলেকশনে হবে, সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ইলেকশন হলে কাউন্সিলরদের কদর বাড়বে। আর সিলেকশন হলে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার গ্রুপ ও এমপি কাজী নাবিল গ্রুপ তাদের আধিপত্যের প্রশ্নে প্লাস-মাইনাসের নানা কৌশল নিয়েছে। দুগ্রুপই কৌশল হিসেবে একই পদে একাধিক ডামি প্রার্থীও মাঠে নামিয়েছেন। যাতে সিলেকশনের ক্ষেত্রে দরকষাকষির সুযোগটি থাকে। আর ইলেকশন হলে কাউন্সিরদের মতমতই চূড়ান্ত। সম্মেলন ঘিরে গোটা শহরে সাজসাজ বর। চাঙ্গা হয়েছে দলের নেতাকর্মীরাও।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে ইলেকশন নাকি সিলেকশন হবে, সেটি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করবেন। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সম্মেলন সফল করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের ৮৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রায় সাড়ে তিন বছরে দ্বিধাবিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ কর্মসূচি শাহীন চাকলাদার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে আলাদাভাবে পালিত হয়েছে। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর যশোর ও সদর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শাহীন চাকলাদার অনুসারীদের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ৪৫৫ কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির ৬৮ জন, যশোর সদর উপজেলার ৬৪, শহর আওয়ামী লীগের ৪২, মণিরামপুর উপজেলার ৪৩, চৌগাছা উপজেলার ৩০, শার্শার ৩৫, বাঘারপাড়ার ২৭, অভয়নগরের ২৬, ঝিকরগাছার ৪১ জন ও কেশবপুরের ৩৪ জন।

কো-অপ্ট করা হয়েছে ৪৫ জনকে। তবে শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে ইলেকশন নাকি সিলেকশন হবে, সেটি নিশ্চিত নয়।

সম্মেলন ঘিরে শহরে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকছে। এর মধ্যে টহল পুলিশ, অনুষ্ঠানস্থলে স্ক্যানার থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় তল্লাশি করা হয়। এ ছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।