ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়ের চারপাশকে শব্দ দূষণমুক্ত নীরব জোন করা হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশকে শব্দ দূষণমুক্ত বা নীরব জোন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। রাজধানীর আশেপাশের ইটভাটা, যাচ্ছেতাই নির্মাণ কাজ ও মোটরযানের ধোঁয়া- তিন কারণে ঢাকা সিটির বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। গত আটবছর ধরে এই তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে। ফলে বায়ুদূষণ মোকাবেলায় দূষণের উৎস বন্ধ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ঢাকার চারপাশের জলাশয়গুলাকে রক্ষা করতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ু ও শব্দদূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, কিভাবে জনগণকে বায়ুদূষণ থেকে মুক্ত করতে পারি সে জন্য এ সভা ডাকা হয়েছে। ঢাকা সিটিতে বায়ুদূষণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সরকারি বেসরকারি অবকাঠমো ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় করা প্রয়োজন। ইউটিলিটি সার্ভিসের কাজের জন্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেট এক্সপ্রেস-হাইওয়েসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মাণের সময় পানি ছিটানো, যন্ত্রপাতি যত্রতত্র ফেলে না রাখা ও নির্মাণের ক্ষেত্র নির্ধারিত বেস্টনির মধ্যে আছে কি-না তা দেখতে হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের বায়ুদূষণের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এ সমস্যা রোধে মূল দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

শাহাব উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে বায়ু দূষণের উৎস নিয়ে চলতি বছরের মার্চে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্ব ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, দেশে বায়ু দূষণের প্রধান তিনটি উৎস হচ্ছে- ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও নির্মাণ কাজ। আট বছর ধরে এ তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে।

তিনি বলেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, কদম ফোয়ারা, শিক্ষাভবন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকাকে নীরব জোন বা শব্দবিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ এলাকায় কোনো পরিবহনকে কোনো প্রকার হর্ন বাজাতে বা শব্দ সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সচিবালয়ের চারপাশকে শব্দ দূষণমুক্ত নীরব জোন করা হবে

আপডেট টাইম : ১০:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশকে শব্দ দূষণমুক্ত বা নীরব জোন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। রাজধানীর আশেপাশের ইটভাটা, যাচ্ছেতাই নির্মাণ কাজ ও মোটরযানের ধোঁয়া- তিন কারণে ঢাকা সিটির বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। গত আটবছর ধরে এই তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে। ফলে বায়ুদূষণ মোকাবেলায় দূষণের উৎস বন্ধ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ঢাকার চারপাশের জলাশয়গুলাকে রক্ষা করতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ু ও শব্দদূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, কিভাবে জনগণকে বায়ুদূষণ থেকে মুক্ত করতে পারি সে জন্য এ সভা ডাকা হয়েছে। ঢাকা সিটিতে বায়ুদূষণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সরকারি বেসরকারি অবকাঠমো ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় করা প্রয়োজন। ইউটিলিটি সার্ভিসের কাজের জন্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেট এক্সপ্রেস-হাইওয়েসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মাণের সময় পানি ছিটানো, যন্ত্রপাতি যত্রতত্র ফেলে না রাখা ও নির্মাণের ক্ষেত্র নির্ধারিত বেস্টনির মধ্যে আছে কি-না তা দেখতে হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের বায়ুদূষণের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এ সমস্যা রোধে মূল দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

শাহাব উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে বায়ু দূষণের উৎস নিয়ে চলতি বছরের মার্চে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্ব ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, দেশে বায়ু দূষণের প্রধান তিনটি উৎস হচ্ছে- ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও নির্মাণ কাজ। আট বছর ধরে এ তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে।

তিনি বলেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, কদম ফোয়ারা, শিক্ষাভবন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকাকে নীরব জোন বা শব্দবিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ এলাকায় কোনো পরিবহনকে কোনো প্রকার হর্ন বাজাতে বা শব্দ সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।