হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রায় সাড়ে ১২ একর জায়গা নিয়ে ১৯৬৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় হর্টিকালচার সেন্টার। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বছর খানেক ধরে বিভিন্ন সংকট যেনো পিছুই ছাড়ছে না। অবশ্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করছে জলবদ্ধতাকেই
সরজমিন দেখা যায়, শ্রীনগর, শ্রীধরখিলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেনের পানি এসে জমা হয় হর্টিকালচারটির অর্ধেক জায়গা জুড়ে। জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ১০০টির মতো মাতৃগাছের গোড়া পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুকুরের পাড় ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন ময়লা পানির জলাবদ্ধতার কারণে মাতৃবাগান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দিন আর রাত নেই বখাটেদের চলাফেরা যেন কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও এর প্রতিকার মিলছে না। শেড, পর্যাপ্ত জনবল না থাকার কারণেও সৃষ্টি হয় নানা ধরনের সমস্যা।
হর্টিকালচার সেন্টার অফিস সূত্র জানায়, সার্কিট হাউজে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাবেক উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন রাষ্ট্রপতিকেও এ সংকটের ব্যাপারে অবগত করেছিলেন। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আংশিক মাটি ভরাট করা হয়েছে। লিচু জাতীয় মাতৃবাগান করা হয়েছে।
যা এখন বিভিন্ন সংকটের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় কৃষি বিভাগের আওতাধীন হর্টিকালচার সেন্টারটির প্রায় অর্ধেক নিজস্ব নিচু জমিগুলোতে এখনও মাটি ভরাট করে কৃষি কাজের উপযোগী করে তুলতে পারেনি। ফলে হর্টিকালচার সেন্টারটি থেকে মানুষ তাদের কাক্সিক্ষত উন্নত জাতের ফলের চারা সংগ্রহ করতে পারছে না।
হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিদ জয়নুল আলম তালুকদার জানান, যে জায়গাগুলোতে জলাবদ্ধতার কারণে গাছগুলো পচে যাচ্ছে সেখানে মাটি ভরাট করতে পারলে হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
সংকটগুলো সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতাধীন খামারবাড়ীর প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদকে জানানো হয়েছে। তিনি শিগগিরই ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জয়নুল আলম তালুকদার।