ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ বছরের যাত্রার পর কষ্ট করে পাওয়াটা অনেক আনন্দের ব্যাপার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শামীম হাসান সরকার বর্তমান ব্যস্ততা, ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে।

‘ম্যাংগো স্কোয়াড’ ইউটিউব চ্যানেল এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আপনার কাছে কেমন লাগছে?
এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। আমার পরিবারসহ ফ্রেন্ডরা বেশ খুশি। পুরনো মেম্বার যারা ছিল তারাও খুশি। পাঁচ বছরের যাত্রার পর কষ্ট করে এ পাওয়াটা অনেক আনন্দের ব্যাপার।

মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার পাশাপাশি এরকম একটা ইউটিউব চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে স্ট্রাগল প্রসঙ্গে… 
দুটো ক্ষেত্রেই দুই ধরনের ডাইমেনশন। নাটকে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার আলাদা একটা ফ্যান থাকে, আবার ইউটিউবেরও ফ্যান আছে। আরেকটা হচ্ছে ম্যাংগো স্কোয়াডের কোর ফ্যান, যারা আমাকে নাটকের শুটিং করা অবস্থায় পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়ার সময় বলে ‘ভাইয়া, নাটক করছেন আপনাকে খুব ভালো লাগে। আপনি সিনেমাও করেন সমস্যা নেই; কিন্তু ভিডিও একটা বানাইয়েন।’ এটা হার্ডকোর ফ্যান, এই ফ্যানদের জন্যই ভিডিও বানাই। আমার কাছে মনে হয় ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকের কাছে বেশি দ্রুত পৌঁছানো যায়। টিভির নাটকটা অনেক সময় সেভাবে পৌঁছায় না।

টিভি নাটকে তো ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর পাশাপাশি ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারসাম্য কীভাবে বজায় রাখেন?
বলতে গেলে টিভি ক্যারিয়ারে আমার ব্যস্ততা চার বছরে ডাবল, ট্রিপল হয়ে গেছে। কষ্ট হলেও আমি আমার রুট ভুলতে চাই না। তাই ব্রেকে যখনই সুযোগ পাই, আমার ম্যাংগো স্কোয়াডের ফ্যানদের জন্য ভিডিও বানাই। আর এখন থেকে মাসে দুই-তিন দিন সময় পাব ভিডিও নির্মাণ করার ক্ষেত্রে। কারণ জিনিসটা চাইলেই সম্ভব, যদিও কষ্ট একটু বেশি হয়। দেখা যায় ছুটির দিনগুলোতে যখন সবার ফ্রি টাইম মেলাতে পারি, তখনই শুটিংয়ে নামি। তার মানে আমার কোনো রেস্ট নেই, আমি যখন মেইনস্ট্রিম থেকে রেস্ট পাই তখন আমার স্টাইলে অন থাকি। দুটোতেই ব্যালেন্স রাখি, ইনশাআল্লাহ এভাবে আরও বেশি অ্যাকটিভিটিজ বাড়বে।

টিভি নাটকের ক্ষেত্রে আপনাদের কয়েকজনের একটা টিম তৈরি হয়ে গেছে, এর মাধ্যমে তরুণদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠছেন, এক্ষেত্রে ব্যস্ত অভিনেতা হওয়ার অনুভূতি…
অবশ্যই এটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আমি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখানে এসেছি তখন একটা চ্যালেঞ্জ ছিল দর্শক আমাকে অ্যাকসেপ্ট করবে কি-না, নাটকে কাজ পাব কি-না, কেউ আদৌ ডাকবে কি-না। আল্লাহর রহমতে সবাই আমাকে অ্যাকসেপ্ট করার পর আমি প্রফেশনালি একজন অ্যাক্টর, সে জায়গা থেকে আমি খুব খুশি, আমি সফল নিজের কাছে। আমার চাকরি খোঁজা লাগেনি। তার মানে হচ্ছে যে আমি খুশিমনে এখানে আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।

আমাদের দেশের নাটক ও ইউটিউবের কনটেন্টের পথচলা কি ঠিক মতো এগোচ্ছে বলে মনে করেন?
ওভারঅল ভালো-খারাপ সবই আছে। একটা জিনিস যেটা হচ্ছে, যেহেতু এটা ফ্রি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট এখন ডমিনেট করছে। তাই খারাপ কনটেন্ট আসবেই, কিন্তু তার মাঝেও আমরা মনে করি ভালো কনটেন্ট হচ্ছে। আমরা টেকনিক্যালি অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পেছানো। আমরা অনেক কম দামি লাইট ইউজ করি, টেম্পারেচারসহ অনেক কিছু নিজেরাই ম্যানেজ করি। যেটা আমরা নিজেরা কনসিডার করি আর্টিস্ট হিসেবে, ডিরেক্টররাও করে। সবমিলিয়ে আমরা ডেডিকেটেড দেখেই যে বাজেটে কাজগুলো করছি ইনশাআল্লাহ সামনের দিকে আরও বেটার কিছু আসবে।

এক্ষেত্রে পরিবর্তন…
এখন যেসব খারাপ কনটেন্ট আসছে, সেগুলো সামনে থেমে যাবে। আমার বিশ্বাস সামনে ভালো কিছু আসবে এবং শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা মিডিয়ায় আসছে, তাদের বুঝ-জ্ঞান আরও বেটার, তাদের নলেজ কাজে লাগছে। তারা যে ডিপার্টমেন্টেরই হোক, যেহেতু শিক্ষিত তাই বেটার কিছুই হবে। তরুণ কিছু নির্মাতা, অভিনেতা আছে সবাই মিলেই চেষ্টা করছে পরিবর্তনটা আনার এবং সবই ধীরে ধীরে চেঞ্জ হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো কিছু হবে।

ইউটিউব কনটেন্টের ক্ষেত্রে দর্শকদের জন্য সামনে কী আকর্ষণ নিয়ে আসবেন?
যদিও ব্যস্ততা সবারই বেশি বছর শেষে, তারপরও আমরা কিছু শো নামাব যেগুলো অন্য নামে হবে। আমরা বলতে পারছি না সবগুলো জিনিস, কিন্তু করে দেখাতে চাই। বলার চেয়ে যেদিন চ্যানেলে আসবে, সেদিন মানুষ ইনজয় করবে; আমাদের সঙ্গে থাকবে এটাই চাই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পাঁচ বছরের যাত্রার পর কষ্ট করে পাওয়াটা অনেক আনন্দের ব্যাপার

আপডেট টাইম : ০৮:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শামীম হাসান সরকার বর্তমান ব্যস্ততা, ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে।

‘ম্যাংগো স্কোয়াড’ ইউটিউব চ্যানেল এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আপনার কাছে কেমন লাগছে?
এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। আমার পরিবারসহ ফ্রেন্ডরা বেশ খুশি। পুরনো মেম্বার যারা ছিল তারাও খুশি। পাঁচ বছরের যাত্রার পর কষ্ট করে এ পাওয়াটা অনেক আনন্দের ব্যাপার।

মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার পাশাপাশি এরকম একটা ইউটিউব চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে স্ট্রাগল প্রসঙ্গে… 
দুটো ক্ষেত্রেই দুই ধরনের ডাইমেনশন। নাটকে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার আলাদা একটা ফ্যান থাকে, আবার ইউটিউবেরও ফ্যান আছে। আরেকটা হচ্ছে ম্যাংগো স্কোয়াডের কোর ফ্যান, যারা আমাকে নাটকের শুটিং করা অবস্থায় পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়ার সময় বলে ‘ভাইয়া, নাটক করছেন আপনাকে খুব ভালো লাগে। আপনি সিনেমাও করেন সমস্যা নেই; কিন্তু ভিডিও একটা বানাইয়েন।’ এটা হার্ডকোর ফ্যান, এই ফ্যানদের জন্যই ভিডিও বানাই। আমার কাছে মনে হয় ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকের কাছে বেশি দ্রুত পৌঁছানো যায়। টিভির নাটকটা অনেক সময় সেভাবে পৌঁছায় না।

টিভি নাটকে তো ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর পাশাপাশি ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারসাম্য কীভাবে বজায় রাখেন?
বলতে গেলে টিভি ক্যারিয়ারে আমার ব্যস্ততা চার বছরে ডাবল, ট্রিপল হয়ে গেছে। কষ্ট হলেও আমি আমার রুট ভুলতে চাই না। তাই ব্রেকে যখনই সুযোগ পাই, আমার ম্যাংগো স্কোয়াডের ফ্যানদের জন্য ভিডিও বানাই। আর এখন থেকে মাসে দুই-তিন দিন সময় পাব ভিডিও নির্মাণ করার ক্ষেত্রে। কারণ জিনিসটা চাইলেই সম্ভব, যদিও কষ্ট একটু বেশি হয়। দেখা যায় ছুটির দিনগুলোতে যখন সবার ফ্রি টাইম মেলাতে পারি, তখনই শুটিংয়ে নামি। তার মানে আমার কোনো রেস্ট নেই, আমি যখন মেইনস্ট্রিম থেকে রেস্ট পাই তখন আমার স্টাইলে অন থাকি। দুটোতেই ব্যালেন্স রাখি, ইনশাআল্লাহ এভাবে আরও বেশি অ্যাকটিভিটিজ বাড়বে।

টিভি নাটকের ক্ষেত্রে আপনাদের কয়েকজনের একটা টিম তৈরি হয়ে গেছে, এর মাধ্যমে তরুণদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠছেন, এক্ষেত্রে ব্যস্ত অভিনেতা হওয়ার অনুভূতি…
অবশ্যই এটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আমি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখানে এসেছি তখন একটা চ্যালেঞ্জ ছিল দর্শক আমাকে অ্যাকসেপ্ট করবে কি-না, নাটকে কাজ পাব কি-না, কেউ আদৌ ডাকবে কি-না। আল্লাহর রহমতে সবাই আমাকে অ্যাকসেপ্ট করার পর আমি প্রফেশনালি একজন অ্যাক্টর, সে জায়গা থেকে আমি খুব খুশি, আমি সফল নিজের কাছে। আমার চাকরি খোঁজা লাগেনি। তার মানে হচ্ছে যে আমি খুশিমনে এখানে আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।

আমাদের দেশের নাটক ও ইউটিউবের কনটেন্টের পথচলা কি ঠিক মতো এগোচ্ছে বলে মনে করেন?
ওভারঅল ভালো-খারাপ সবই আছে। একটা জিনিস যেটা হচ্ছে, যেহেতু এটা ফ্রি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট এখন ডমিনেট করছে। তাই খারাপ কনটেন্ট আসবেই, কিন্তু তার মাঝেও আমরা মনে করি ভালো কনটেন্ট হচ্ছে। আমরা টেকনিক্যালি অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পেছানো। আমরা অনেক কম দামি লাইট ইউজ করি, টেম্পারেচারসহ অনেক কিছু নিজেরাই ম্যানেজ করি। যেটা আমরা নিজেরা কনসিডার করি আর্টিস্ট হিসেবে, ডিরেক্টররাও করে। সবমিলিয়ে আমরা ডেডিকেটেড দেখেই যে বাজেটে কাজগুলো করছি ইনশাআল্লাহ সামনের দিকে আরও বেটার কিছু আসবে।

এক্ষেত্রে পরিবর্তন…
এখন যেসব খারাপ কনটেন্ট আসছে, সেগুলো সামনে থেমে যাবে। আমার বিশ্বাস সামনে ভালো কিছু আসবে এবং শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা মিডিয়ায় আসছে, তাদের বুঝ-জ্ঞান আরও বেটার, তাদের নলেজ কাজে লাগছে। তারা যে ডিপার্টমেন্টেরই হোক, যেহেতু শিক্ষিত তাই বেটার কিছুই হবে। তরুণ কিছু নির্মাতা, অভিনেতা আছে সবাই মিলেই চেষ্টা করছে পরিবর্তনটা আনার এবং সবই ধীরে ধীরে চেঞ্জ হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো কিছু হবে।

ইউটিউব কনটেন্টের ক্ষেত্রে দর্শকদের জন্য সামনে কী আকর্ষণ নিয়ে আসবেন?
যদিও ব্যস্ততা সবারই বেশি বছর শেষে, তারপরও আমরা কিছু শো নামাব যেগুলো অন্য নামে হবে। আমরা বলতে পারছি না সবগুলো জিনিস, কিন্তু করে দেখাতে চাই। বলার চেয়ে যেদিন চ্যানেলে আসবে, সেদিন মানুষ ইনজয় করবে; আমাদের সঙ্গে থাকবে এটাই চাই