শীতপ্রবণ পঞ্চগড় জেলায় আজ রবিবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। এই দিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। টানা ৫ দিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে । গত টানা পাঁচ দিন পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান,আকাশে মেঘ জমে থাকায় এবং কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রবিবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
তবে, আজ রবিবার সকাল ১০ টার পর রোদের দেখা মিললেও কিছুক্ষণ পরপর মেঘে ঢাকা পড়েছে সূর্য। দিনের বেলা কুয়াশা না থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে হিমালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে শীতের প্রবাহিত তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। দিনের বেলা রোদের কারণে শীত কম অনুভুত হয়। বিকেল থেকে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষ।
এদিকে গত ৫ দিন ধরে পঞ্চগড়ে ১০ ডিগ্রীর নিচে তাপমাত্রা অবস্থান করছে।
আজ রবিবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। শনিবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহ ব্যাপি এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
মূলত গত সাত দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর উপরে বিরাজ এবং শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা ছিল। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবারো এ জেলার উপর দিয়ে দ্বিতীয় দফার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ রবিবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তিনি আরও জানান,জানুয়ারীতে তাপমাত্রা আরও কমে আসার শঙ্কা রয়েছে।
এগিকে তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের শীর্তাত মানুষ। গ্রামীণ জনপদের অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। শীতে জবুথবু অবস্থা অসহায় দরিদ্র ছিন্নমুল মানুষের। অনেকে শীত বস্ত্রের অভাবে বেশ কষ্ট ভোগ করছেন। জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু কম্বল বিতরণ করার হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। শীত বস্ত্রের অভাবে বিশেষ করে চা, পাথর, বালু শ্রমিক, দিন মজুর, রিক্সা-ভ্যান চালক ও দরিদ্র মানুষরা বেশী কষ্ট পাচ্ছেন।
অপর দিকে শীকজনিত নানা রোগ বালাই বেড়ে গেছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন।