হাওর বার্তা ডেস্কঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের জন্য নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে বাদ ফজর বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ বাহিনীর পক্ষে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বাহিনী প্রধানরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৯ জন সেনা, ২ জন নৌ এবং ৩ জন বিমানবাহিনী সদস্যকে ২০১৮-১৯ সালের শান্তিকালীন পদক দেবেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আজ বিকালে ঢাকার সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। দিবস উপলক্ষে আজ নৌবাহিনী প্রধান নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবে। এছাড়া, বিমানবাহিনী প্রধান কাল বিমানবাহিনীর এবং সেনাবাহিনী প্রধান ২৫ নভেম্বর সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এছাড়াও সাভার, বরিশাল, কক্সবাজার, বগুড়া, সিলেট, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর, রাজেন্দ্রপুর ও খুলনা সেনানিবাস/ঘাঁটিতে সংশ্লিষ্ট এরিয়া সদর দফতরের ব্যবস্থাপনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ/স্থাপনা এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজ দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বুধবার বাংলাদেশ টেলিভিশন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর সশস্ত্র বাহিনীর পরিবেশনায় বিশেষ অনির্বাণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বেতার বিশেষ দুর্বার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। টেলিভিশনের জন্য নির্মিত বিশেষ অনির্বাণ অনুষ্ঠানটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলেও পরে পর্যায়ক্রমে প্রচার হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।