হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাই কমিশনের ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিণে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বইমেলা ২০১৯’-এর প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিলো। যুক্তরাজ্যের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গত ১৬ ও ১৭ নভেম্বর এই বইমেলার আয়োজন করে।
উদ্বোধনের পরই বইমেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু কর্নার। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোস্টার ও ব্যানারে সাজানো এই স্টলে জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ১৪টি বই মেলায় আগত অতিথি ও বিপুল সংখ্যক দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারা বইগুলো গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখেন এবং এসব কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট বুকস্টলের খোঁজ-খবর নেন।
এর আগেও গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ হাই কমিশনের ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে যুক্তরাজ্যের সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘৯ম বাংলাদেশ বইমেলায় যোগ করেছিলো ভিন্ন মাত্রা। ওই মেলাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের এবং তার জীবন ও কর্মের ওপর লেখা বিভিন্ন বই এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ১৪টি বই প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছিলে, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর আগ্রহের সৃষ্টি করেছিলো।
এবারের মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। উদ্বোধক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও বর্তমানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বাংলাদেশের তথ্য সচিব আবদুল মালেক এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস্ ও নিউহ্যাম কাউন্সিলের মেয়র রোকসানা ফায়েজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহর কণ্ঠে জাতির পিতাকে নিয়ে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর (কামাল চৌধুরী) লেখা একটি বিখ্যাত কবিতার আবৃত্তি দর্শক-শ্রোতাদের অভিভূত করে। এছাড়া বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীদের পরিবেশিত বর্ণাঢ্য নাচ ও গান বইমেলায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির এক মনোমুগদ্ধকর আবহ তৈরি করে।
বাংলাদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিবৃন্দ এবং লন্ডনের পাঠক-ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও সংস্কৃতি কর্মীগণ এ মেলায় যোগ দেন।