ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

মাঠে মাঠে সোনালি ধানের সমারোহ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৮৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় মাঠে মাঠে এখন সবুজ ও সোনালি ধানের সমারোহ। চলতি কার্ত্তিকের অকাল বর্ষণের কারণে কোন কোন জায়গায় আমন ক্ষেতের পাকাধান হেলে ও নেতিয়ে পড়ে কিছু ক্ষতি হলেও সার্বিকভাবে এবারও ধানের বাম্পার ফলনই হতে যাচ্ছে বগুড়ায়। এ অভিমত কৃষি বিভাগের।
চোখে একরাশ সোনালি স্বপ্ন নিয়ে পাকা ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে চাষিরা। তবে ফলন ভাল হলেও ধানের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কাও জাগছে তাদের মনে!

কৃষি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মৌসমে বগুড়ায় ১ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। ১২ উপজেলায় চাষ হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫ হেক্টর জমি। কৃষি বিভাগের হিসেবে চাষকৃত জমি এবার ৫ লাখ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যেতে পারে।
সাধারনত আমন ধানের আগাম জাতের ব্রি-৩৩, ব্রি-৭১, ব্রি-৭৪, বীনা-৭, মিনিকেট ধানের ফলন মেলে ১২০ দিনে। আর প্রতি বিঘায় ১৪ হতে ১৫ মন ধান পাওয়া যায়।
অন্যান্য জাতের মধ্যে বিআর-১১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, ব্রি-৫২, কাটারিভোগ স্বর্না, রনজিৎ, পাইজাম ধান ১৩৫ হতে ১৪৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।

পুরোদমে ধান কাটা শুরু হতে আরও ২ সপ্তাহ সময় লাগলেও জেলার পশ্চিমাঞ্চলে নন্দীগ্রাম, শেরপুর, ধুনট উপজেলায় ইতোমধ্যেই ১৫ শ’ ৫০ হেক্টর জমির আগাম ধান কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কাটা ধান বাজারেও বিক্রি হচ্ছে। জাত আর মান ভেদে সেই ধান সাড়ে ৫ শ’ হতে ৬ শত টাকা মন বেচা কেনা চলছে। ফলে উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে চাষিরা।
কৃষি বিভাগের হিসাবেই একবিঘা জমিতে আমন ধান চাষে বীজ, চারা, সার, পানি, কাটা মাড়াই, মজুরের খরচসহ মোট সাড়ে ১২ হতে ১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৪/ ১৫ মন ধান পাওয়া গেলে ৬ শ’ টাকা হিসাবে দাম মিলবে ৯ হাজার টাকা। সেই সাথে খড়ের দাম পাওয়া যায় ২ হাজার টাকা।
সেই হিসাবে বিঘা প্রতি দেড় হতে ২ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে চাষিদের। যা তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

মাঠে মাঠে সোনালি ধানের সমারোহ

আপডেট টাইম : ১২:০১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় মাঠে মাঠে এখন সবুজ ও সোনালি ধানের সমারোহ। চলতি কার্ত্তিকের অকাল বর্ষণের কারণে কোন কোন জায়গায় আমন ক্ষেতের পাকাধান হেলে ও নেতিয়ে পড়ে কিছু ক্ষতি হলেও সার্বিকভাবে এবারও ধানের বাম্পার ফলনই হতে যাচ্ছে বগুড়ায়। এ অভিমত কৃষি বিভাগের।
চোখে একরাশ সোনালি স্বপ্ন নিয়ে পাকা ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে চাষিরা। তবে ফলন ভাল হলেও ধানের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কাও জাগছে তাদের মনে!

কৃষি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মৌসমে বগুড়ায় ১ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। ১২ উপজেলায় চাষ হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫ হেক্টর জমি। কৃষি বিভাগের হিসেবে চাষকৃত জমি এবার ৫ লাখ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যেতে পারে।
সাধারনত আমন ধানের আগাম জাতের ব্রি-৩৩, ব্রি-৭১, ব্রি-৭৪, বীনা-৭, মিনিকেট ধানের ফলন মেলে ১২০ দিনে। আর প্রতি বিঘায় ১৪ হতে ১৫ মন ধান পাওয়া যায়।
অন্যান্য জাতের মধ্যে বিআর-১১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, ব্রি-৫২, কাটারিভোগ স্বর্না, রনজিৎ, পাইজাম ধান ১৩৫ হতে ১৪৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।

পুরোদমে ধান কাটা শুরু হতে আরও ২ সপ্তাহ সময় লাগলেও জেলার পশ্চিমাঞ্চলে নন্দীগ্রাম, শেরপুর, ধুনট উপজেলায় ইতোমধ্যেই ১৫ শ’ ৫০ হেক্টর জমির আগাম ধান কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কাটা ধান বাজারেও বিক্রি হচ্ছে। জাত আর মান ভেদে সেই ধান সাড়ে ৫ শ’ হতে ৬ শত টাকা মন বেচা কেনা চলছে। ফলে উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে চাষিরা।
কৃষি বিভাগের হিসাবেই একবিঘা জমিতে আমন ধান চাষে বীজ, চারা, সার, পানি, কাটা মাড়াই, মজুরের খরচসহ মোট সাড়ে ১২ হতে ১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৪/ ১৫ মন ধান পাওয়া গেলে ৬ শ’ টাকা হিসাবে দাম মিলবে ৯ হাজার টাকা। সেই সাথে খড়ের দাম পাওয়া যায় ২ হাজার টাকা।
সেই হিসাবে বিঘা প্রতি দেড় হতে ২ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে চাষিদের। যা তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।