ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

নবী-রাসুল কারা, তাঁদের কাজ কী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৮৫ বার

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও মানবকুল থেকে রাসুল মনোনীত করেন। এ ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ফেরেশতা ও মানবকুল থেকে রাসুল মনোনীত করে থাকেন।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৭৫) মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষই নবী ও রাসুল হয়ে থাকেন। নবী-রাসুলরা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত এবং তিনি তাঁদের সব ধরনের চারিত্রিক ও মানবিক দোষত্রুটি থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ৪৭)

আল্লাহ প্রতিটি জাতির জন্য স্বজাতি থেকে নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এমন কোনো জাতি নেই, যাদের কাছে সতর্ককারী বা ভীতি প্রদর্শক প্রেরিত হয়নি।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৪)

কোরআনের ভাষায় নবী-রাসুলদের কাজ
পবিত্র কোরআনে নবী-রাসুলদের (আ.) মৌলিক চারটি কাজের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতগুলো পড়ে শোনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিল।’ (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ২)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসুল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসুল আগমনের পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোনো অভিযোগ না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৬৫)

নবী-রাসুলদের (আ.) কর্মপদ্ধতি ছিল উচ্চতর প্রজ্ঞা ও কল্যাণকামিতায় ভরপুর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর পথে মানুষকে হিকমত ও উত্তম উপদেশ সহকারে দাওয়াত দাও।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)

আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে উম্মতের জন্য, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য অপরিসীম ভালোবাসা দান করেছিলেন। ফলে তাঁরা দ্বিনের দাওয়াত শুধু দায়িত্ব হিসেবে দিতেন না; বরং তাঁদের সত্তাগত তাড়নাও কাজ করত। আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি; কিন্তু এটা তাদেরই উপদেশের জন্য, যারা ভয় করে।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১-৩)

মুহাম্মদ (সা.) সবার রাসুল
পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আগমনের ধারাক্রম মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। ফলে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিন তাঁর আনীত শরিয়ত (জীবনবিধান) মানতে বাধ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, হে মানবজাতি! আমি তোমাদের সবার প্রতিই আল্লাহর রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৭৫)

আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে মানবতার মুক্তির দূত ও সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জগতের প্রতি শুধু রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)

আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (সা.)-কেই শুধু সম্মানিত করেননি; বরং তাঁর উম্মতকেও সম্মানিত করেছেন। তাদের অন্য উম্মতের জন্য সাক্ষ্য ও আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘এভাবে আমরা তোমাদের একটি উত্তম জাতিরূপে গড়ে তুলেছি, যাতে তোমরা গোটা মানবজাতির জন্য সত্যের সাক্ষ্যদাতা হতে পারো এবং রাসুল যেন তোমাদের সাক্ষ্য বা নমুনা হন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৪৩)

কাজী সিকান্দার ও আহমাদ রাইদের লেখা থেকে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

নবী-রাসুল কারা, তাঁদের কাজ কী

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা ও মানবকুল থেকে রাসুল মনোনীত করেন। এ ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ফেরেশতা ও মানবকুল থেকে রাসুল মনোনীত করে থাকেন।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৭৫) মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষই নবী ও রাসুল হয়ে থাকেন। নবী-রাসুলরা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত এবং তিনি তাঁদের সব ধরনের চারিত্রিক ও মানবিক দোষত্রুটি থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ৪৭)

আল্লাহ প্রতিটি জাতির জন্য স্বজাতি থেকে নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এমন কোনো জাতি নেই, যাদের কাছে সতর্ককারী বা ভীতি প্রদর্শক প্রেরিত হয়নি।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৪)

কোরআনের ভাষায় নবী-রাসুলদের কাজ
পবিত্র কোরআনে নবী-রাসুলদের (আ.) মৌলিক চারটি কাজের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতগুলো পড়ে শোনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিল।’ (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ২)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসুল প্রেরণ করেছি, যাতে রাসুল আগমনের পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোনো অভিযোগ না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৬৫)

নবী-রাসুলদের (আ.) কর্মপদ্ধতি ছিল উচ্চতর প্রজ্ঞা ও কল্যাণকামিতায় ভরপুর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর পথে মানুষকে হিকমত ও উত্তম উপদেশ সহকারে দাওয়াত দাও।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)

আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে উম্মতের জন্য, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য অপরিসীম ভালোবাসা দান করেছিলেন। ফলে তাঁরা দ্বিনের দাওয়াত শুধু দায়িত্ব হিসেবে দিতেন না; বরং তাঁদের সত্তাগত তাড়নাও কাজ করত। আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি; কিন্তু এটা তাদেরই উপদেশের জন্য, যারা ভয় করে।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১-৩)

মুহাম্মদ (সা.) সবার রাসুল
পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আগমনের ধারাক্রম মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। ফলে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিন তাঁর আনীত শরিয়ত (জীবনবিধান) মানতে বাধ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, হে মানবজাতি! আমি তোমাদের সবার প্রতিই আল্লাহর রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৭৫)

আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে মানবতার মুক্তির দূত ও সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জগতের প্রতি শুধু রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)

আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (সা.)-কেই শুধু সম্মানিত করেননি; বরং তাঁর উম্মতকেও সম্মানিত করেছেন। তাদের অন্য উম্মতের জন্য সাক্ষ্য ও আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘এভাবে আমরা তোমাদের একটি উত্তম জাতিরূপে গড়ে তুলেছি, যাতে তোমরা গোটা মানবজাতির জন্য সত্যের সাক্ষ্যদাতা হতে পারো এবং রাসুল যেন তোমাদের সাক্ষ্য বা নমুনা হন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৪৩)

কাজী সিকান্দার ও আহমাদ রাইদের লেখা থেকে