হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে ইলিশের আমদানি না থাকলে শুধু যে ভোজন রসিকদের মন ভার থাকে তাই না, বিক্রেতারাও যেন স্বস্তি পান না। তাই তো নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও বাজারে ইলিশ ফেরায় হাসি ফুটেছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মুখেই।
প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষার জন্য গত ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুত এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করে সরকার। গত ৩১ অক্টোবর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে আবারও ইলিশে ভরে গেছে। শুধু তাই নয়, দামও তুলনামূলক কম। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতা সমাগম ছিল বেশি। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষেও ছিল দেশের জাতীয় এই মাছটি। গতকাল রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর আড়তে মাছ কিনতে আসা কামরুল ইসলাম বলেন, ইলিশ মাছ ছাড়া বাজার যেন পূর্ণতা পায় না। তিনি বলেন, ইলিশ মাছ বাজারে থাকলে অন্যান্য মাছের দামও তুলনামূলক একটু কম থাকে।
মাছ ব্যবসায়ী আনিস বলেন, ইলিশ বিক্রি করতে ক্রেতাদের সঙ্গে বেশি কথা বলতে হয় না। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞার পর প্রচুর ইলিশ মাছ আমদানি হচ্ছে। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। যে কারণে ইলিশের দামও আগের চেয়েও কম। এদিকে বাজারে ইলিশের দাপটে অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা কমতির দিকে। বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশ ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, কই ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই, কাতলা ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, রূপচাঁদা ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, গ্রাসকার্প ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, কোরাল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মাংসের মধ্যে গরু ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা, খাসি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও এখনো সেভাবে দাম কমছে না সবজির। গতকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে বেগুন, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টম্যাটো ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, পটোল, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা , পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।