ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার দুই সিটিতেই মেয়র পদে নতুন প্রার্থী কে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন এক ঘোষ’ণায় বলেছে যে, আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পো’রেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পো’রেশনের দুটি নির্বাচন নিয়েই অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষ করে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ এই নির্বাচন জানুয়ারি মাসে চাইছে না। অন্তত তিন মাস পিছিয়ে মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন করার তাঁরা পক্ষপাতি*
যেহেতু এই নির্বাচন করার আইনগত বাধ্য’বাধকতা রয়েছে সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তবে দুটি সিটি কর্পো’রেশনেই কিছু ওয়ার্ড এবং কিছু এলাকার সীমানা নিয়ে নানা রকম আইনি জটিলতা রয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র বলছে যে, আদালতে গেলে এই সব আইনি জ’টিলতার কারণে নির্বাচন হয়তো পিছিয়ে গেলেও যেতে পারে।
তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করার পক্ষপাতি এবং এই নির্বাচন যেন যথা সময়ে হয় সেই ব্যাপারেও আগ্রহী। এই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ মনে করে যে, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। এ ধরনের নির্বাচনে জনগণের ম্যানডেট নিতে আওয়ামী সব সময় প্রস্তুত।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুই মেয়রই টলটলেও মান অবস্থায় আছেন। যদিও সাঈদ খোকনের চেয়ে আতিকুল ইসলামের সম্ভাবনা এখনো কিছুটা জিইয়ে আছে। তবে দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকনের সম্ভাবনা ক্রমশ ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে।

আতিকুল ইসলামের অবস্থাও নড়বড়ে। কিন্তু আতিকুল ইসলাম যেহেতু মাত্র এক বছরের জন্য মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সেজন্য তাকে আরেকবার মেয়রপদে রাখার পক্ষে একটি মত রয়েছে। কিন্তু অন্য পক্ষ বলছে এক বছরে আতিকুল ইসলাম মেয়র হিসেবে তেমন কিছুই করতে পারেনি। বিশেষ করে ডেঙ্গু, জলাবদ্ধতা ও এফ’আর টাও’য়ারের ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় তাকে আনাড়ি ও অদক্ষ হিসেবে দেখা গেছে। এজন্যই ঢাকা উত্তরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় ভালো প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে আওয়ামী লীগ।

বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কাছে এরকম খবর আছে যে, আগামী নির্বাচনটি বিএনপি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিবে। এবং নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আওয়াল অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থী। ছয় বছর ধরে ঢাকা উত্তরে তাবিথ কাজ করছেন। এই নির্বাচনে যেন কারচুপি না হয় বা জনগন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য তাবিথ নানা রকম কৌশল অবলম্বন করছেন বলে সরকারের কাছে খবর রয়েছে। এই বাস্তবতায় তাবিথকে মোকাবিলা করার জন্য একজন জনপ্রিয় মুখকে প্রার্থী আওয়ামী লীগ দিতে পারে বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে এখানে নোয়াখালিজম হিসাব আছে। নোয়াখালিজম হিসাবের কারণে আতিকুল ইসলামকেও প্রার্থীতা দেওয়া হতে পারে। আতিকুল ইসলামের বাড়ি নোয়াখালি, তাবিথ আউয়ালের বাড়িও নোয়াখালি। ঢাকা উত্তরে একটি বিরাট নোয়াখালি অধ্যুষিত এলাকা। তাই এই দুজন দুদল থেকে প্রার্থী হলে আঞ্চলিক ভোটগুলো ভাগাভাগি হবে।

এই বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত আতিকের ভাগ্য খুলে যেতেও পারে। তবে আতিক থাকবেন কি থাকবেন না সেটা নির্ধারিত হবে আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। তবে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে চমক আছে। এমন একজন পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থী উত্তর থেকে দেওয়া হতে পারে যিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু রাজনীতির আবহের সঙ্গে বড় হয়েছে। তার একটা পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে। জনগনের কাছে তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি এবং পরিচিতি রয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু ডে’ঙ্গুর ব্য’র্থতা, ক্যা’সিনো বাণিজ্য এবং ওয়ার্ড কাউন্সি’লরদের দুর্বৃ’ত্তায়ন এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ডেঙ্গু মোকাবিলার কারণে সাঈদ খোকন সীমাহীনভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ডে’ঙ্গু মশার যে ওষুধ, সেই ওষুধ আমদানীর ক্ষেত্রে নয় ছয়ের অভিযোগও রয়েছে তার বি’রুদ্ধে। এ সমস্ত অভি’যোগের পুরো বৃত্তান্তই প্রধানমন্ত্রী অবহিত। পাশাপাশি তার সিটি করপো’রেশন এলাকায় ক্যা’সিনো বাণিজ্য হয়েছে আর সেটা তিনি কিছুই জানেন না এই বিষয়টিও সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।

কয়েকজন ওয়ার্ড কাউ’ন্সিলর যারা দক্ষিণের ওয়ার্ড কাউ’ন্সিলর ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ক্যা’সিনো বাণিজ্যের অভি’যোগ রয়েছে। যাদের অনেকে নিখোঁজ রয়েছে, অনেকে প’দত্যাগ করেছেন। এই সব ব্যাপারগুলোর কারণে ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের নেতৃত্ব ও দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সবচেয়ে বড় কথা বলা হচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পো’রেশনের টেন্ডা’রগুলো নিয়’ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নুরুন্নবী শাওনের একটা বড় ভুমিকা ছিল। এবং সেখানে নুরুন্নবী শাওনকে একটা বড় রকমের পৃষ্ঠপোষকতা দিতেন সাঈদ খোকন এমন অভি’যোগও আওয়ামী লীগের অনেক নে’তা করছেন। এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সেখানে এখন একজন নতুন প্রার্থী খুঁজছেন এটা নিশ্চিত।

আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চমক আসছে। তরুণ উদীপ্ত একজন জনপ্রিয় মুখকে মেয়র করার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নয় অন্তত তিনজন ব্যক্তির একটি সংক্ষিপ্ত তা’লিকা তৈরি করেছেন। যে তা’লিকা থেকে কাউকে হয়তো মেয়র নির্বাচন করা হবে। তবে শেষপর্যন্ত মেয়র নির্বাচনের নাটকীয়তা কোথায় গড়ায় তা প্রকাশ্য হবে ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফ’সিল ঘোষ’ণা করার পর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঢাকার দুই সিটিতেই মেয়র পদে নতুন প্রার্থী কে

আপডেট টাইম : ১০:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন এক ঘোষ’ণায় বলেছে যে, আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পো’রেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পো’রেশনের দুটি নির্বাচন নিয়েই অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষ করে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ এই নির্বাচন জানুয়ারি মাসে চাইছে না। অন্তত তিন মাস পিছিয়ে মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন করার তাঁরা পক্ষপাতি*
যেহেতু এই নির্বাচন করার আইনগত বাধ্য’বাধকতা রয়েছে সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তবে দুটি সিটি কর্পো’রেশনেই কিছু ওয়ার্ড এবং কিছু এলাকার সীমানা নিয়ে নানা রকম আইনি জটিলতা রয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র বলছে যে, আদালতে গেলে এই সব আইনি জ’টিলতার কারণে নির্বাচন হয়তো পিছিয়ে গেলেও যেতে পারে।
তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করার পক্ষপাতি এবং এই নির্বাচন যেন যথা সময়ে হয় সেই ব্যাপারেও আগ্রহী। এই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ মনে করে যে, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। এ ধরনের নির্বাচনে জনগণের ম্যানডেট নিতে আওয়ামী সব সময় প্রস্তুত।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুই মেয়রই টলটলেও মান অবস্থায় আছেন। যদিও সাঈদ খোকনের চেয়ে আতিকুল ইসলামের সম্ভাবনা এখনো কিছুটা জিইয়ে আছে। তবে দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকনের সম্ভাবনা ক্রমশ ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে।

আতিকুল ইসলামের অবস্থাও নড়বড়ে। কিন্তু আতিকুল ইসলাম যেহেতু মাত্র এক বছরের জন্য মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সেজন্য তাকে আরেকবার মেয়রপদে রাখার পক্ষে একটি মত রয়েছে। কিন্তু অন্য পক্ষ বলছে এক বছরে আতিকুল ইসলাম মেয়র হিসেবে তেমন কিছুই করতে পারেনি। বিশেষ করে ডেঙ্গু, জলাবদ্ধতা ও এফ’আর টাও’য়ারের ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় তাকে আনাড়ি ও অদক্ষ হিসেবে দেখা গেছে। এজন্যই ঢাকা উত্তরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় ভালো প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে আওয়ামী লীগ।

বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কাছে এরকম খবর আছে যে, আগামী নির্বাচনটি বিএনপি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিবে। এবং নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আওয়াল অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থী। ছয় বছর ধরে ঢাকা উত্তরে তাবিথ কাজ করছেন। এই নির্বাচনে যেন কারচুপি না হয় বা জনগন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য তাবিথ নানা রকম কৌশল অবলম্বন করছেন বলে সরকারের কাছে খবর রয়েছে। এই বাস্তবতায় তাবিথকে মোকাবিলা করার জন্য একজন জনপ্রিয় মুখকে প্রার্থী আওয়ামী লীগ দিতে পারে বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। তবে এখানে নোয়াখালিজম হিসাব আছে। নোয়াখালিজম হিসাবের কারণে আতিকুল ইসলামকেও প্রার্থীতা দেওয়া হতে পারে। আতিকুল ইসলামের বাড়ি নোয়াখালি, তাবিথ আউয়ালের বাড়িও নোয়াখালি। ঢাকা উত্তরে একটি বিরাট নোয়াখালি অধ্যুষিত এলাকা। তাই এই দুজন দুদল থেকে প্রার্থী হলে আঞ্চলিক ভোটগুলো ভাগাভাগি হবে।

এই বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত আতিকের ভাগ্য খুলে যেতেও পারে। তবে আতিক থাকবেন কি থাকবেন না সেটা নির্ধারিত হবে আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। তবে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে চমক আছে। এমন একজন পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থী উত্তর থেকে দেওয়া হতে পারে যিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু রাজনীতির আবহের সঙ্গে বড় হয়েছে। তার একটা পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে। জনগনের কাছে তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি এবং পরিচিতি রয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু ডে’ঙ্গুর ব্য’র্থতা, ক্যা’সিনো বাণিজ্য এবং ওয়ার্ড কাউন্সি’লরদের দুর্বৃ’ত্তায়ন এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ডেঙ্গু মোকাবিলার কারণে সাঈদ খোকন সীমাহীনভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ডে’ঙ্গু মশার যে ওষুধ, সেই ওষুধ আমদানীর ক্ষেত্রে নয় ছয়ের অভিযোগও রয়েছে তার বি’রুদ্ধে। এ সমস্ত অভি’যোগের পুরো বৃত্তান্তই প্রধানমন্ত্রী অবহিত। পাশাপাশি তার সিটি করপো’রেশন এলাকায় ক্যা’সিনো বাণিজ্য হয়েছে আর সেটা তিনি কিছুই জানেন না এই বিষয়টিও সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।

কয়েকজন ওয়ার্ড কাউ’ন্সিলর যারা দক্ষিণের ওয়ার্ড কাউ’ন্সিলর ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ক্যা’সিনো বাণিজ্যের অভি’যোগ রয়েছে। যাদের অনেকে নিখোঁজ রয়েছে, অনেকে প’দত্যাগ করেছেন। এই সব ব্যাপারগুলোর কারণে ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের নেতৃত্ব ও দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সবচেয়ে বড় কথা বলা হচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পো’রেশনের টেন্ডা’রগুলো নিয়’ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নুরুন্নবী শাওনের একটা বড় ভুমিকা ছিল। এবং সেখানে নুরুন্নবী শাওনকে একটা বড় রকমের পৃষ্ঠপোষকতা দিতেন সাঈদ খোকন এমন অভি’যোগও আওয়ামী লীগের অনেক নে’তা করছেন। এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সেখানে এখন একজন নতুন প্রার্থী খুঁজছেন এটা নিশ্চিত।

আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চমক আসছে। তরুণ উদীপ্ত একজন জনপ্রিয় মুখকে মেয়র করার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নয় অন্তত তিনজন ব্যক্তির একটি সংক্ষিপ্ত তা’লিকা তৈরি করেছেন। যে তা’লিকা থেকে কাউকে হয়তো মেয়র নির্বাচন করা হবে। তবে শেষপর্যন্ত মেয়র নির্বাচনের নাটকীয়তা কোথায় গড়ায় তা প্রকাশ্য হবে ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফ’সিল ঘোষ’ণা করার পর।