চুল পড়া, খুশকি, পাকা চুল, টাক, রুক্ষ চুল এক কথায় চুল নিয়ে যেকোনো সমস্যার সমাধান দেবে কারি পাতা।
এক দিকে শীতের ধুলো-ময়লা এবং শুষ্ক আবহাওয়া, অন্যদিকে জেল, স্ট্রেটনার, কেমিক্যালের কারিগরিতে চুলের হাল দফা-রফা। কারি পাতা দূরে করে দিতে চুলের সব সমস্যা।
কারি পাতার মধ্যে থাকা প্রোটিন ও বিটা-ক্যারোটিন চুল পড়া প্রতিরোধ করে। প্রচুর পরিমাণে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তালুর আর্দ্রতা বজায় রাখে, খুশকির হাত থেকে রক্ষা করে।
১। হেয়ার টনিক- নারকেল তেলের মধ্যে কারি পাতা দিয়ে ফোটাতে থাকুন যত ক্ষণ না কালো তলানি তৈরি হবে। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় ভাল করে মসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই মিশ্রণ মাথায় লাগান। চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে। পেকে যাওয়াও রোধ করতে পারে এই থেরাপি।
২। হেয়ার মাস্ক- কয়েকটা কারি পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন কারি পাতার মাস্ক লাগালে চুল বাড়বে, স্মুদ হবে, ঘন লাগবে দেখতে।
৩। কারি পাতার চা- শুনতে অদ্ভুত লাগলেও কারি পাতার চা চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে। কারি পাতা ফুটিয়ে লেবুর রস ও সামান্য চিনি দিন। টানা এক সপ্তাহ এই চা খেয়ে দেখুন। এই চা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, চুল পাকার হাত থেকেও রেহাই পাবেন।