হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারা আলি খানের ভক্তের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত দুটি ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। তবে তার সৌন্দর্যেও যে ভক্তরা মুগ্ধ তা আলাদা করে বলতে লাগে না। কিন্তু এক সময়ে এই সারাই একাধিক বার বিভিন্ন রকমের তির্যক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন। তখন তার ওজন ছিল ৯৬ কেজি। সেই সময়ে সারা পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম) রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু এখন তার ওজন ৪৬ কেজি। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি।
৫০ কেজি ওজন কমাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে সারাকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সারা জানিয়েছিলেন, তিনি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভুগছিলেন। হরমোন জনিত এই রোগের জন্যই মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় সারার। পিসিওএস-এর ফলে ওজন কমাতেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে সারাকে। সেই দুঃসময় কাটিয়ে সারা এখন সুস্থ। পিসিওএস-এ এই মুহূর্তে বহু নারী আক্রান্ত। এর অন্যতম উপসর্গ হল মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া। ওজন বাড়লে পিসিওএস আরো বেশি করে শরীরে জাঁকিয়ে বসে। তাই এই রোগে আক্রান্তদের ডায়েটের ওপর গুরুত্ব দিতে হয়। সারাও ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি ডায়েটেও অনেক নিয়ম মেনে চলেছেন। সারা বলেন, মোটা ছিলাম বলে অনেক কথা শুনতে হয়েছে সে সময়। এটা জীবনের একটি বাজে অভিজ্ঞতা ছিলো। ৫০ কেজি ওজন কমিয়ে ছবিতে কাজ করতে পারবো সেটা ভাবিনি। তবে চেষ্টা ও পরিশ্রমের ফলে সম্ভব হয়েছে এটা। আমার নিজের কাছেই অবাক লাগে বিষয়টি ভাবলে। তবে এখন সবাই আমার রূপ, শারীরিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন। তবে শরীর নিয়ে কারোই মন্তব্য করা ঠিক নয়। এটা মন ভেঙে দেয়। যেমনটা ভেঙে ছিলো আমার।