ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবি উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ বলার ব্যাখা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যের শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহা নেরজয় হিন্দ বলার বিষয়ে ব্যাখা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  সকালে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাবি ইতিহাস বিভাগ ও জন ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী ‘কালচার পিস অ্যান্ড এডুকেশন : ফ্রম দ্যা পারস্পেক্টিভ অব পিপলস হিস্ট্রি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ‘জয় হিন্দ’ বলেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সংবাদটি অত্যন্ত চতুর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন এক কোটি শরণার্থীর খাদ্য-বাসস্থানের যোগান দান, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহযোগিতাকরণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন জ্ঞাপন, সর্বোপরি বিশ্বজনমত সৃষ্টির দ্বারা স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তকরণে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকারসহ সে দেশের জনগণের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের এই সহযোগিতার জন্য ভারত রাষ্ট্রের দীর্ঘায়ু কামনা করতে গিয়ে উপাচার্য মহোদয় অতি প্রাসঙ্গিকভাবেই ‘জয় হিন্দ’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন এবং তা তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের পর বলেন। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান স্থিতিশীল অবস্থা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি রোধে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ধরনের বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক ইতিহাসবিদসহ রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাটিও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাবি উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ বলার ব্যাখা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

আপডেট টাইম : ১২:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যের শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহা নেরজয় হিন্দ বলার বিষয়ে ব্যাখা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  সকালে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাবি ইতিহাস বিভাগ ও জন ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী ‘কালচার পিস অ্যান্ড এডুকেশন : ফ্রম দ্যা পারস্পেক্টিভ অব পিপলস হিস্ট্রি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ‘জয় হিন্দ’ বলেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সংবাদটি অত্যন্ত চতুর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন এক কোটি শরণার্থীর খাদ্য-বাসস্থানের যোগান দান, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহযোগিতাকরণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন জ্ঞাপন, সর্বোপরি বিশ্বজনমত সৃষ্টির দ্বারা স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তকরণে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকারসহ সে দেশের জনগণের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের এই সহযোগিতার জন্য ভারত রাষ্ট্রের দীর্ঘায়ু কামনা করতে গিয়ে উপাচার্য মহোদয় অতি প্রাসঙ্গিকভাবেই ‘জয় হিন্দ’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন এবং তা তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের পর বলেন। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান স্থিতিশীল অবস্থা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি রোধে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ধরনের বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক ইতিহাসবিদসহ রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাটিও।