‘র্যাব’ মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘যত বড় মাপের রাষ্ট্র বিরোধী গোষ্ঠি, সন্ত্রাসী বা জঙ্গী সংগঠনই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, প্রতিরোধ করবোই।
তিনি বলেন, অতিথি পরায়ন হিসেবে খ্যাতি আছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিনা কারণে নিরীহ বিদেশিদের হত্যা এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না। মেহমানদের নিরাপত্তার কারণে আইনশৃংখলা বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
র্যাবের ডিজি বলেন, দেশ বিরোধী শক্তি, রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি, জঙ্গী সন্ত্রাসীদের দমনে আমরা সক্ষম হয়েছি। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর।
রোববার দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র্যাব, পুলিশ, বিজিবি’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে র্যাব (র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান) ডিজি বেনজীর আহমেদ এ সব কথা বলেন।
জঙ্গী বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে র্যাবের ডিজি বলেন, উত্তরবঙ্গেই প্রথম জেএমবি জঙ্গীদের উত্থান হয়। উত্তরবঙ্গের জেএমবি জঙ্গীদের উত্থানের পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পর্যায়ক্রমে ১১০০ জঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করেন এবং তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছেন। তাদের পরবর্তী কর্মকান্ডে নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫৭ জন জেএমবি’র জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেএমবি জঙ্গীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবার বাহার, র্যাব-১২ অধিনায়ক সাহাবুদ্দিন খান, র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের অধিনায়ক শেখ মুনিরুজ্জামান, পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরসহ র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, ডিজিএফআইসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন শাখার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।